নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের অপহৃত শিশু রাফিনকে লক্ষèীপুর থেকে উদ্ধারসহ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গত বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ৯টায় ও সাড়ে ৩টা পর্যন্ত র্যাব-১১’র এএসপি মো: আলমগীর হোসেন, পিপিএম ও সিপিসি-৩ লক্ষèীপুর র্যাব ক্যাম্পের সিনিয়র এএসপি মো: সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল নোয়াখালী ও লক্ষèীপুরে অভিযান চালিয়ে অপহৃত শিশু রাফিন (৭) কে উদ্ধার এবং অপহরনকারী হাকিম (২৩) কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
শুক্রবার (১৮ মার্চ) বিকালে র্যাব-১১’র সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে লে:কমান্ডার গোলজার হোসেন জানায়, বি-বাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার বাদারোচ গ্রামের ওমান প্রবাশী টিপু সুলতানের ছেলে অপহৃত শিশু মো:রাফিন তার মামা মো:রফিকুল ইসলামের সাথে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন মিজমিজি সিআই খোলা বৌবাজার এলাকাস্থ বাসায় বসবাস করতো। গত মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) সকাল ১০টায় রাফিনের বাবা-মায়ের পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে তার মামা রফিকের বাসায় বেড়াতে আসে নোয়াখালী জেলার চাটখিল থানার দক্ষিণ রাম নারায়ণপুর এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে হাকিম। রাফিনকে আইসক্রিম খাওয়ানোর কথা বলে বাড়ীর বাহিরে এনে রাস্তা হতে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে অজ্ঞাত পরিচয়ে এক ব্যক্তির ফোন নাম্বার ০১৮৮১-৯২৩০২১ হতে রাফিনের মামা রফিকের ফোন নাম্বারে রাফিনকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে বলে ফোনে জানায় এবং মুক্তিপণ হিসেবে ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাবী করে। দাবী পুরন না করলে রাফিনকে হত্যার হুমকী প্রদান করে।
রাফিনের মামা রফিকসহ খালু আউয়াল মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) হতে বিভিন্ন সময়ে আপহরণকারীর সাথে ফোনে দেন-দরবার করে ব্যার্থ হয়ে গত বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী লিপিবদ্ধ করে এবং পাশাপাশি র্যাবের সহযোগীতা চেয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। র্যাব বিষয়টি তাৎক্ষনিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে গ্রহন করে কার্যক্রম শুরু করে। এএসপি মোঃ আলমগীর হোসেন, পিপিএম আসামীর ব্যবহৃত ফোন নং ০১৮৮১-৯২৩০২১ এর সূত্র ধরে অপহরনকারী হাকিমের পূর্ণ পরিচিতি উদ্ধারসহ তার অবস্থান নোয়াখালীতে শনাক্ত করে। অতঃপর সিপিসি-৩, লক্ষীপুর র্যাব ক্যাম্পের সহায়তায় সিনিয়র এএসপি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে র্যাবের একটি আভিযানিক দল নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে সাড়াশী অভিযান পরিচালনা করে। র্যাবের কার্যক্রম টের পেয়ে অপহরনকারী হাকিম বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ৯টায় লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন বটতলী রাস্তার মাথা “জোনাকী সার্ভিস” বাস কাউন্টারে রাফিনকে ফেলে রেখে কৌশলে পালিয়ে যায়। সেখান থেকে পরবর্তীতে রাত সাড়ে ৯টায় রাফিনকে র্যাব উদ্ধার করে। র্যাবের অপর একটি আভিযানিক দল নোয়াখালী জেলার চাটখিল থানাধীন দক্ষিন রাম নারায়ণপুর অপহরনকারী হাকিমের সন্ধানে তার বাড়ীর আশেপাশে অবস্থান নিয়ে ওৎ পেতে থাকে। অপহরনকারী হাকিম বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় বাড়ীতে প্রবেশ করার সাথে সাথে তার দখল হতে অপহরনের কাজে ব্যবহৃত ০১৮৮১-৯২৩০২১ নাম্বারের ফোনটি উদ্ধার করা হয়। সে অকপটে অপহরনের ঘটনার কথা স্বীকার করে।
তিনি আরো জানায়, রাফিনের পিতা-মাতা ওমানে কর্মরত আছেন। ইতিপূর্বে অপহরনকারী হাকিম ওমানে থাকত। সেই সূত্র ধরে তাদের সাথে পরিচয় এবং সেই সূযোগ কাজে লাগিয়ে রাফিনের পিতা-মাতার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টায় সে মাদ্রাসার ছাত্র রাফিন (৭)কে অপহরণ করে। গ্রেফতারকৃত আসামী সহ উদ্ধারকৃত ভিকটিম সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হস্তান্তরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।