বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ঝাঁকি জাল দিয়ে মাছ ধরার হিড়িক পড়েছে। গ্রাম বাংলার ঝাঁকি জালে মাছ ধরার ঐতিয্য টিকিয়ে রাখতেই এ আয়োজন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তোফায়েল আহাম্মেদ আলমাছের নিজস্ব উদ্যেগে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও মাছ ধরা উৎসবের আয়োজন করা হয়। শনিবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় উপজেলার তারাব পৌরসভার কর্ণগোপ এলাকায় এ মাছ ধরা উৎসব।
জানা গেছে, রূপগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খালে-বিলে ও পুকুরে এক সময় ঝাঁকি জাল দিয়ে মাছ ধরতো স্থানীয় লোকজন। বিভিন্ন শিল্পকারখানা ও আবাসন প্রকল্প গড়ে উঠায় এখন প্রায় এলাকায় খাল-বিল ও পুকুর বালু দিয়ে ভরাট করে ফেলেছে। ধীরে ধীরে এসব মাছ ধরার আমেজ উঠে যাচ্ছে। বাপ-দাতাদের আমলে ঝাঁকি জাল দিয়ে মাছ ধরার উৎসব এখন আর তেমন দেখা যায়না। এ জন্য মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহাম্মেদ আলমাছের উদ্যেগে কর্ণগোপ ও মাছিমপুর এলাকায় ৭টি মাছের প্রজেক্ট গড়ে তোলা হয়েছে। ওই মাছের প্রজেক্ট গুলোতে দেশীয় মাছ ছাড়া হয়। পুটি, শিং, কই, চিতল, রুই, কাতলা, মৃগেল, মাগুর, সইলাপাতা, টেংরা, শইল, টাকিসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ প্রজেক্টে রয়েছে। প্রতি বছর এক একটি প্রজেক্টে ঝাঁকি জাল দিয়ে মাছ ধরার উৎসব আয়োজন করা হয়।
কর্ণগোপ এলাকার প্রায় ১০ বিঘা মাছের প্রজেক্টে ২০০ টিকেট বিক্রি করা হয়। টিকিট গুলো আরো দুই সপ্তাহ আগেই বিক্রি করা হয়। স্থানীয় এলাকার পাশাপাশি আড়াইহাজার, সোনারগাঁও ও কালিগঞ্জ উপজেলা থেকেও লোকজন মাছ ধরায় অংশ গ্রহন করেন। শনিবার মাছ ধরার উপলক্ষ্যে ভোর থেকেই মাছ ধরা প্রেমিদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। মুড়ি, চিড়াসহ বিভিন্ন খাবার নিয়ে নারী-পুরুষরা মাছ ধরা দেখতে প্রজেক্টে ভিড় জমায়।
মাছ ধরতে আসা এজাজ আহাম্মেদসহ আরো অনেকেই জানায়, পুরনো এ ঐতিয্য ধরে রাখতে তারা প্রতি বছরই মাছ ধরার এ উৎসবের অপেক্ষায় থাকেন। সকলে মিলে এক সাথে ঝাকি জাল দিয়ে মাছ ধরার মজাটাই আলাদা বলে জানান তারা।
ইউপি চেয়ারম্যান তোফায়েল আহাম্মেদ আলমাছ বলেন, ঝাঁকি জালে মাছ ধরার পুরনো এ ঐতিয্য ধরে রাখতে গিয়ে যদি আমার লোকসানও হয়, তারপরও আমি এ আয়োজন করে যাবো। কারন মানুষের মাছে যে উৎসাহ ও আমেজ দেখতে পাই, এটাই শান্তি।