বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
রূপগঞ্জে দাবিকৃত যৌতুকের টাকা না দেয়ায় মাদক ব্যবসায়ী স্বামী, শশুর, শাশুরী ও ভাসুর মিলে নাসরিন আক্তার (২৪) নামে এক গৃহবধুর শরীরের বিভিন্ন অংশ গরম পানি দিয়ে ঝলসে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওড়া এলাকায় ঘটে এ ঘটনা। দুপুরে এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিত ওই গৃহবধু। গৃহবধু নাসরিন আক্তার নাওড়া এলাকার মৃত শাহাবুদ্দিনের মেয়ে।
গৃহবধু নাসরিন আক্তার জানান, প্রায় ৫ বছর আগে একই এলাকার যাবুল হোসেন ওরফে পাগলার ছেলে উজ্জল মিয়ার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। ওই সময় উজ্জল মিয়া রাজমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতো। বিয়ের পর তাদের সংসারে পুরবি নামে একটি সন্তান হয়। সন্তান হওয়ার পর থেকেই রাজমিস্ত্রির কাজ ছেড়ে দিয়ে স্থানীয় একটি মাদক ব্যবসায়ী ও অপরাধ চক্রের সঙ্গে মিশে যায়। এরপর থেকেই মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসা শুরু করে উজ্জল মিয়া। প্রায় সময় এসব অপরাধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় তাকে শারিরিক নির্যাতন শিকার হতে হয়। স্বামী উজ্জলের সঙ্গে শশুর, শাশুরী ও ভাসুরও নির্যাতন করে।
গত এক সপ্তাহ ধরে তারা বাপের বাড়ি থেকে এক লাখ টাকা যৌতুকে এনে দিতে চাপ প্রয়োগ করে আসছে নাসরিন আক্তারকে। কোন প্রকার টাকা এনে দিতে পারবেনা বলে সাফ জানিয়ে দেয় ওই গৃহবধু। এতে ক্ষিপ্ত গত দুই দিন আগে এক মহিলাকে দ্বিতীয় বিয়ে করে। বৃহস্পতিবার সকালে কোন কিছু বোঝার আগেই স্বামী উজ্জল মিয়া, শশুর যাবুল হোসেন ওরফে পাগলা, শাশুরী হারিছা বেগম, ভাসুর আল-মামুন গরম পানি শরীরে ছুড়ে মারে। এতে শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলষে যায়। এসময় নাসরিন আক্তারের আত্মচিৎকারে বাপের বাড়ির লোকজন উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মনির বলেন, এক গৃহবধু এ ধরনের অভিযোগ নিয়ে এসেছিলো। কাবিন নামা নিয়ে এসে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে এক নির্যাতিত গৃহবধু এ ধরনের ঘটনায় একটি অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।