বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় পারিবারিক কলহে এক রাতে দুই গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে। একজনকে গলা কেটে ও অপরজনকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
রূপগঞ্জে উপজেলার ভুলতা ইউপির আমলাব এলাকায় বৃষ্টি আক্তারকে গলাকেটে হত্যা করেন তার স্বামী ইমন গাজী। শুক্রবার মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই ইমনকে আটক করে পুলিশ।
নিহত বৃষ্টি আক্তার নবাবগঞ্জের ভাগুলিয়া গ্রামের জনু মোল্লার মেয়ে। নিহতের স্বামী ইমন গাজী বরিশালের ইউনিুস গাজীর ছেলে। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি। তারা রূপগঞ্জের আমলাব এলাকায় ভাড়া বাসা নিয়ে থাকতেন।
রূপগঞ্জ থানার ভূলতা ফাঁড়ির পুলিশ পরির্দশক মোস্তাফিজুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির সঙ্গে তার স্বামীর ঝগড়া চলছিলো। শুক্রবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্ত্রীকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন ইমন। পরে তাকে গলা কেটে হত্যা করেন। ওই সময় বৃষ্টির চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে স্বামী ইমন গাজীকে আটক করে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হবে।
এদিকে একই উপজেলার মৈকুলী এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর ছুরিকাঘাতে জান্নাতুল ফেরদৌস নামে আরেক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। ঘটনা পর স্বামী আবদুল্লাহ চৌধুরী পালিয়ে গেছেন।
নিহত জান্নাতুল ফেরদৌসের গ্রামের বাড়ি খুলনার খালিসপুরে। রূপগঞ্জে স্বামীর সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি।
উপপরির্দশক সবুজ মিয়া জানান, ফেইসবুকে পরিচয়ের মাধ্যমে জান্নাতুল ও আবদুল্লাহ বিয়ে হয়। আবদুল্লাহ আগেও একটি বিয়ে করেন এবং বিয়ের বিষয়টি স্ত্রীর কাছে গোপন রাখেন। এসব নিয়েই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিলো।
রূপগঞ্জ থানার ওসি এএফএম সায়েদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভোরে তাদের দুইজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে আবদুল্লাহ ঘর থেকে বেরিয়ে প্রতিবেশীদের রুমের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে ঘরে ফিরে আসেন এবং স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। আহত অবস্থায় জান্নাতুল ফেরদৌসকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিলে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। আসামি অবদুল্লাহকে আটকের জন্য অভিযান চলছে।