বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
রূপগঞ্জের চনপাড়া পূর্নবাসন কেন্দ্রের কিশোর আসলাম হত্যার আসামীরা এখনো অধরা। হত্যাকান্ডের পর থেকে আসামীরা বীরদর্পে এলাকায় ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ রহস্যজনক কারণে তাদের গ্রেপ্তার করছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। পরিবারটির অভিযোগ, কিলিং মিশনে ৫ জন জড়িত থাকলেও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এজাহারে দুজনকে আসামী করেছেন। মামলা তুলে না নিলে পরিবারের সবাইকে আসলামের পরিণতি করা হবে এই মর্মে সোমবার সকালে সন্ত্রাসীরা নিহতের পরিবারকে হুমকি দিয়েছে। হত্যাকারীদের ভয়ে নিহতের পরিবারটি চরম নিরপত্তাহীনতায় ভুগছে।
নিহতের পরিবার অভিযোগ করে বলেন, গত ৪ মাস আগে নবকিশলয় উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়–য়া এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি করার প্রতিবাদ করায় চনপাড়া পূর্নবাসন কেন্দ্রের মাদক কারবারী মেহেদী হাসান, তার সহযোগী লিমন মিয়া, হেলাল মিয়া, সুমন মিয়া ও মনির হোসেন আসলাম মিয়াকে বেধড়ক পেটায়। এর জেরেই ঐদিন সন্ধ্যায় আসলাম ও তার কয়েকজন বন্ধু মিলে মেহেদী হাসানকে বেধড়ক মারধর করে। এরপর ভয়ে আসলাম এলাকা ছেড়ে চলে যায়। বিষয়টি নিয়ে আপোষ করার জন্য আসলামের পরিবার বহু চেষ্টা করে। কিন্তু মেহেদী হাসান ও তার লোকজন আপোষে রাজি না হয়ে উল্টো আসলামকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়।
নিহতের বোন আসমা আক্তার বলেন, স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে গত ১১ জানুয়ারী আসলামকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়। ফিরে আসার একদিন পর ১২ জানুয়ারী দিনেদুপুরে ৮নং ওয়ার্ডের বোরহান মিয়ার চায়ের দোকানের সামনে মেহেদী হাসান ও তার সহযোগীরা আসলামের উপড় অতর্কিত হামলা চালায়। একপর্যায়ে তাকে বেধড়ক ছুরিকাঘাত করে। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের বোন আসমা আক্তার বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় ৫ জনকে আসামী করে মামলা করতে গেলে তদন্তকারী কর্মকর্তা দু’জনকে আসামী করে মামলা নেন। এদিকে মামলা দায়েরের পর থেকে আসামীরা এলাকায় বীরদর্পে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ রহস্যজনক কারণে তাদের গ্রেপ্তার করছে না। স্থানীয়রা জানান, আসামীরা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এছাড়া চুরি, ছিনতাই করে থাকে।
রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হক বলেন, পুলিশ আসামী গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে। অভিযুক্ত তিনজনের নাম এজাহারে অন্তভূক্ত করতে তদন্তকারী কর্মকর্তার অনীহা প্রকাশের বিষয়টি বললে তিনি বলেন, আমার জানা নেই। যদি এমনটি হয়ে থাকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।