বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার বাগবেড় সিডি মার্কেট এলাকার কদম ভুঁইয়ার কিশোরী কন্যা ও স্থানীয় কর্ডোভা প্রি-ক্যাডেট এন্ড হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী বন্যা আক্তারকে (১৩) নিয়ে কক্সবাজার রয়েছেন একই গ্রামে আব্দুল মালেক ওরফে সাদ্দামের ছেলে তুরাগ থানার এসআই মাহামুদুল হাসান সবুজ(৩৬)। গত ১৯ জুলাই ভয়ভীতি দেখিয়ে সবুজ ওই কিশোরী বিয়ে করে। এমন সংবাদ পেয়ে বিয়ের ৩দিন আগে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বাল্যবিয়ে বন্ধ ও কন্যার পরিবারকে ভয়ভীতি না দেখানোর জন্য এসআই মাহামুদুল হাসান সবুজ বলা হয়। ওই নিষেধ অমান্য করে বিয়ে করে কিশোরীকে নিয়ে কক্সবাজার চলে যান সে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাগবেড় সিডি মার্কেট এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, বেশ কিছুদিন ধরে তুরাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও বাগবেড় সিডি মার্কেট এলাকার বাসিন্দা মাহামুদুল হাসান সবুজ একই গ্রামের কদম ভুঁইয়ার কিশোরী কন্যা অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী বন্যা আক্তারকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। বিয়েতে রাজি না হওয়ায় বন্যা আক্তারের পরিবারের লোকজনকে ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে অবশেষে সবুজের কাছে বিয়ে দিতে বাধ্য করা হয়।
বন্যার একাধিক বান্ধবী জানান, সরকার বাল্য বিয়ে বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় প্রতিরোধ করা হলেও পুলিশের এসআই মাহামুদুল হাসান সবুজ নিজেই বাল্য বিয়ে করেছেন। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে কে?
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম জানান, বাল্য বিয়ের ব্যাপারে সরকার কঠোর। তবে ওই বিয়ে বন্ধের জন্য তুরাগ থানার এসআই মাহামুদুল হাসান সবুজকে নিষেধ করা হয়েছিল। সরকারি কর্মকর্তা হয়েও কিশোরী বন্যা আক্তারের পরিবারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে গোপনে বিয়ে করে বেশি অন্যায় করেছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।