বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
আগামী ১লা সেপ্টেম্বর থেকে যেসব রাজাকার পরিবারের সন্তান ও বিতর্কিত ব্যক্তিরা তথা কথিত আহবায়ক কমিটিতে সদস্য হয়েছেন তাদের প্রতিহত করা হবে। তাদের কোনো স্থানে দলের নাম ভাঙ্গিয়ে সভা করতে দেওয়া হবেনা বলে ঘোষনা দিয়েছেন সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতারা।
শনিবার মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় আওয়ামীলীগের কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ও ২১ আগস্ট গ্রেনেট হামলায় নিহতদের স্মরনে শোকসভায় তারা এই ঘোষনা দেন।
সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন, সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার, উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মাসুদ দুলাল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান আহাম্মেদ বাদশা, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি গাজী মুজিবুর রহমান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উপ-কমান্ডার ওসমান গনি, কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সেলিনা আক্তার, উপজেলা আওয়ামীলীগের কোষাধক্ষ্য ও সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের গভেষনা সম্পাদক আশরাফুজ্জামান, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু, জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হামীম শিকদার শিপলু, সনমান্দী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন শাবু, জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেত্রী নাসরিন সুলতানা প্রমূখ।
সভায় উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও সোনারগাঁ পৌরসভা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন।
সভায় বক্তরা বলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগে দীর্ঘ দিন ধরে কোন্দল থাকার কারনে স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধীতাকারী চিহিৃত রাজাকারদের পরিবারের কয়েক জন সদস্য ও ভূমি দস্যূতা, সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত এবং জীবনে কোনো দিন রাজনীতি করেননি এমন বিতর্কিত ব্যাক্তিদের কালো টাকার বিনিময়ে জেলা কমিটি ও কেন্দ্রীয় কমিটির কোনো অনুমোদন না নিয়ে একজন প্রভাবশালী সাংসদের ইশারায় অবৈধভাবে আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি গঠনের পর থেকে এ কমিটির কয়েক জন সদস্য নেতাকর্মীদের জনরোষের ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। এখন পর্যন্ত এ কমিটির কোথাও সভা করতে পারেনি। সভায় দীর্ঘ দিনের কোন্দল ভেঙ্গে তিনভাগে ভিবক্ত আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল কায়সার, তার চাচা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মাসুদ দুলাল তাদের সমর্থকদের নিয়ে এক সঙ্গে এক মঞ্চে উঠে আজীবন একত্রিত হয়ে রাজনীতি করার অঙ্গীকার করেন। এ সময় হাজার হাজার নেতাকর্মী তিন নেতা এক হয়ে মঞ্চে উঠায় করতালি দিয়ে তাদের স্বাগত জানায়।
সভায় সাবেক সাংসদ আব্দুল্লাহ আল কায়সার ও উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম বলেন, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে যেসব রাজাকার পরিবারের সন্তান ও বিতর্কিত ব্যক্তিরা তথা কথিত আহবায়ক কমিটিতে সদস্য হয়েছেন তাদের প্রতিহত করা হবে। তাদের কোনো স্থানে দলের নাম ভাঙ্গিয়ে সভা করতে দেওয়া হবেনা।