নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
বন্দরে ভাষাগত ভাবাবেগ ও বিনম্র শ্রদ্ধায় পালিত হলো আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস। দিবসটি পালণ উপলক্ষ্যে এবারই প্রথম নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব একেএম সেলিম ওসমানের ব্যবস্থাপনায় ব্যাপকভাবে নানা কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে বন্দরের মুক্তিযুদ্ধের সমরক্ষেত্রে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে(শহীদ মিনারে)পুস্পার্ঘ্য অর্পণ,আলোচনা সভা ও দেশাত্ববোধক সংগীতানুষ্ঠান এবং মিলাদ ও দোয়ার মাহফিল।
রোববার একুশের প্রথম প্রহরে ১২টা ১মিনিটে বন্দর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বন্দর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার কাজী নাছিরের নেতৃত্বে,সদ্য যোগদানকৃত অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে বন্দর থানা প্রশাসন শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। পরে পর্যায়ক্রমে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর হান্নান সরকার ও কাউন্সিলর সুলতান আহাম্মদ ভূইয়ার নেতৃত্বে,বন্দর থানা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাব্বির আহমেদ সেন্টু,সাধারণ সম্পাদক এসএম আব্দুল্লাহ ও সাংগঠনিক সম্পাদক খান সোহেলের নেতৃত্বে,শহীদ সোহরাওয়ার্দ্দী ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক লাইক আহাম্মদ সিদ্দিকী বাবু’র নেতৃত্বে,বন্দর থানা জাসদের সভাপতি মাজহারুল ইসলাম মাজু ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ গণি’র নেতৃত্বে,বন্দর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান মাসুদের নেতৃত্বে বন্দর বাইক রাইর্ডাস মুকুলের নেতৃত্বে,২২ নং ওয়ার্ড শ্রমিকলীগের সভাপতি দেওয়ান মোহাম্মদ আলী,সাধারণ সম্পাদক রনি প্রধাণের নেতৃত্বে,২২ নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা জুয়েল মাহমুদের নেতৃত্বে,সোনাকান্দা ঋৃষিপাড়া পঞ্চায়েত কমিটির নেতা সুজন চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে,বন্দর শাহী মসজিদ সূর্য্য তরুন সংঘ,আবাবিল যুব সমাজ কল্যাণ সংঘের সভাপতি সাইদুল ইসলাম সবুজের নেতৃত্বে পুস্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। পরে সকাল সাড়ে ৭টা হতে মুক্তিযুদ্ধের সমরক্ষেত্রের স্মৃতিস্তম্ভে প্রথমেই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব একেএম সেলিম ওসমান ও তার সহধর্মিণী নাসরিন ওসমান। সাংসদের পর পরই বন্দরের ইউএনও মিনারা নাজমীনের নেতৃত্বে বন্দর উপজেলা প্রশাসন,ষ্টেশন মাষ্টার সোহেল রানার নেতৃত্বে বন্দর ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স,বন্দর থানা আওয়ামীলীগের পক্ষে সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম এ রশীদের নেতৃত্বে,বন্দর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষে কমান্ডার আব্দুল লতিফের নেতৃত্বে,জাতীয় পার্টির পক্ষে জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আলহাজ্ব আবুল জাহেরের নেতৃত্বে,বন্দর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল ও সাধারণ সম্পাদক হান্নান সরকারের নেতৃত্বে,আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বন্দর উপজেলা শাখার আহবায়ক শেখ কামালের নেতৃত্বে,বন্দর থানা সমিতি’র সভাপতি এ্যাডভোকেট নূরুল আলম,সাধারণ সম্পাদক মোঃ শহীদউল্লাহ’র নেতৃত্বে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন। এছাড়া পর্যায়ক্রমে বন্দর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যাদের নেতৃত্বে,নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে,কদমরসুল বিশ্ব বিদ্যালয় কলেজ,নাাজিমউদ্দিন ভূইয়া বিশ্ব বিদ্যালয় কলেজ,হাজী ইব্রাহিম মডেল স্কুল এন্ড কলেজ,বন্দর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ,বিএম ইউনিয়ন মডেল স্কুল কলেজ,শামসুজ্জোহা এমবি ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়,হাজী সিরাজউদ্দিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়,পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়,হাজী আব্দুল মালেক উচ্চ বিদ্যালয়,সিকদার আব্দুল মালেক উচ্চ বিদ্যালয়,মিরকুন্ডী উচ্চ বিদ্যালয়,নাসিম ওসমান মডেল স্কুল,শেখ জামাল উচ্চ বিদ্যালয়,নাগিনা জোহা উচ্চ বিদ্যালয়,বিএসইসি ডকইয়ার্ড উচ্চ বিদ্যালয়,সোনাকান্দা উচ্চ বিদ্যালয় উচ্চ বিদ্যালয় পৃথক পৃথক পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে। পুস্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে দিনের দ্বিতীয় পর্বে শহীদ স্মরণে দেশাত্ববোধক সংগীত পরিবেশণ করা হয়। এতে অংশ নেন ২০০১সালে চাষাঢ়ায় বোমা হামলায় আহত আওয়ামীলীগ নেতা বাবু চন্দন শীল,একই হামলায় নিহত প্রখ্যাত কন্ঠশিল্পী নজরুল ইসলাম বাচ্চু’র মেয়ে বৃষ্টি,চ্যানেল আই ক্ষুদে গানরাজ সানজিদা নাহার বেলাসহ আরো অনেকে। পরিশেষে শহীদদের আতœার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। সাংসদ একেএম সেলিম ওসমান ও তার সহধর্মিণী নাসরিন ওসমান ছাড়াও এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিনারা নাজমীন,সহকারি কমিশণার(ভূমি) হোসনে আরা বেগম,বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ,নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ আবুল জাহের,বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুল,বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম এ রশীদ,বন্দর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আ ক ম নূরুল আমিন,উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আফতাবউদ্দিন আহাম্মদ,উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা হেলালউদ্দিন ভূইয়া,বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল কাদির ডিলার,কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব দেলোয়ার হোসেন,মুসাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাকসুদ হোসেন,বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসানউদ্দিন আহাম্মদ,মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম এ সালাম,ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব মাসুম আহমেদ,কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম,নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহাম্মদ দুলাল প্রধাণ,২২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহাম্মদ ভূইয়া,মহিলা কাউন্সিলর রেজওয়ানা হক সুমি,নারায়ণগঞ্জ মহিলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক আলেয়া বেগম,বন্দর থানা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক নূর হোসেন,শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ সোনা মিয়া,কৃষি বিষয়ক সম্পাদক হাজী আবুল কাশেম,বন্দর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হাসান আরিফ,সাংগঠনিক সম্পাদক খান মাসুদ,যুগ্ম সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান কমল,যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মাইনুদ্দিন মানু,জাতীয় পার্টির নেতা মোঃ শাহ আলম,বন্দর থানা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক রফিক খান,মদনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোঃ আমান,মদনপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম,থানা ছাত্রলীগ নেতা ওয়াহিদুজ্জামান অহিদ,নূর মোহাম্মদ দেওয়ান সিয়াপ,সাইফুর রহমান মিশুক,আরাফাত কবির ফাহিম প্রমুখ।
প্রধাণ অতিথি’র বক্তব্যে সাংসদ সেলিম ওসমান বলেন, রাজনীতি’র পরিণাম কখনো ভাল হতে পারেনা। বর্তমানে রাজনীতি’র অনুকূল পরিবেশ নেই। স্বাধীনতা বিরোধীরা এখনো সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ২০০১ সালে আমার মাননীয় প্রধাণমন্ত্রীকেও হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। তেমনিভাবে আমার ভাই শামীম ওসমানকেও বোমা হামলার মাধ্যমে জীবন নাশ করতে চেয়েছিল। সেদিনের সেই হত্যাযজ্ঞের কথা শুনলে এখনো গা শিহরে ওঠে। সকলের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে ২১শে ফেব্রুয়ারী,২৬শে মার্চ এবং ১৬ই ডিসেম্বর এই জায়গায় যেন কোনরকমে রাজনীতি না আসে। আজকে আমরা বন্দরে একটার পর একটা অনুষ্ঠান করছি এই অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে কখনো কোন রাজনীতি দেখা যায়নি। আজকে বিএনপি’র লোকজন যখন আমার পাশ কেটে চলে গিয়েছিল তখন মুকুলকে ডেকে বললাম আামি তাদের সঙ্গে ছবি তুলতে চাই। একথা শুনে সবাই ছুটে এলো ছবি তোলার জন্য। আমি আগেই বলেছি বন্দরের জন্য আমার মার্কা আনারস,আমার মার্কা ধানের শীষ,আমার মার্কা নৌকা,আমার মার্কা লাঙ্গল,আমি সবার আমি আপনাদের সবাইকে নিয়ে বন্দরের উন্নয়ন করতে চাই। আমি ৩শ’ যুবককে ঠিক করেছি আগামী ১সপ্তাহ অথবা ১০ দিনের মধ্যে তাদেরকে পূর্ণবাসন করবো উদ্যোক্তা হিসেবে। সম্ভব হলে নারায়ণগঞ্জের ২০ হাজার নারীকে সাবলম্বী করার উদ্যোগ নেয়া হবে।