নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমান বলেছেন,আমার পিতা একেএম শাসুজ্জোহার পরে যদি কেউ আমার পরিবারের প্রতি বাইরের কোন মানুষ দায়িত্ব পালণ করে থাকেন সেটা হচ্ছে আমাদের মফিজুল ইসলাম মফিজ সাহেব আমাদের মফিজ চাচা। আমি রাজনীতিতে অনেক মানুষ দেখেছি এইরকম নির্লোভ,এইরকম ত্যাগী মানুষ,আমার রাজনৈতিক জীবনে আমি ছোট মানুষ আমি দেখিনি। মফিজ চাচা একজন ভাল মানুষ ছিলেন। একটা ভাল মানুষের যা কোয়ালিটি থাকার কথা সবকিছুই তার মধ্যে ছিল এবং আওয়ামীলীগের যখন খুব করুন অবস্থা সেই সময় আমার বাবার মৃত্যুর পর উনিই আওয়ামীলীগের হাল ধরেছিলেন। ২০০১ এর পরে যখন আওয়ামীলীগের সারা বাংলাদেশের নেতা-কর্মীদের উপর নির্যাতন-অত্যাচার হচ্ছে সেই সময়টায় উনি আওয়ামীলীগের হাল ধরেছিলেন এবং ব্যাক্তিগতভাবে আমার রাজনৈতিক জীবনে যখন প্রচুর ষড়যন্ত্র হচ্ছিল আমি যখন দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছিলাম,বাধ্য হয়েছিলাম যেতে তখন আমার পাশে,পাশে বলবোনা আমার মাথার উপরে ছায়ার মতো ভালবাসা দিয়ে আমার পিতার ¯েœহ দিয়ে মুরুব্বী’র ¯েœহ দিয়ে,নেতার ¯েœহ দিয়ে যদি কেউ সাহস যুগিয়ে থাকেন সেটা হচ্ছেন আমাদের মফিজ চাচা। গতকাল শনিবার বিকেল ৪টায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং সাবেক এমপি ভাষা সৈনিক এ কে এম সামসুজ্জোহা’র ঘনিষ্ঠ সহচর,মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির অন্যতম সদস্য,নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা বর্ষীয়ান জননেতা মফিজুল ইসলামের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মাহমুদনগর এলাকাবাসী আয়োজিত দোয়া অনুষ্ঠানপূর্বক স্মরণসভায় প্রধাণ অতিথি’র বক্তব্যে তিনি এসব বথা বলেন। শামীম ওসমান আরো বলেন,মফিজ চাচা একটা কথা বলতেন শুধু বলতেন সবসময় শামীম ‘‘মাই সান’’ উনি সবসময় মাই সান বলেই ডাকতেন। মাই সান তুমি কি বলো..? মফিজ চাচা চলে গেছেন ওনার নামটা রয়ে গেছেন। যেভাবে ওনাকে সম্মান দেয়া দরকার আওয়ামীলীগ থেকে এখন পর্যন্ত আমরা ওনাকে সেইভাবে সম্মান দিতে পারি নাই। এটা বাস্তব এবং এটা সত্য। আমি অপেক্ষা করছিলাম যে নারায়ণগঞ্জে কিভাবে সম্মানিত করা হয়। আমি আজকে সেক্রেটারী সাহেবের সাথে আলোচনা করেছি। উনি বলেছেন দলীয় কার্যালয়ে আমি ওনাকে অনুরোধ করবো যে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠানটা না করে একদিন দুইদিন পিছিয়ে চাষাড়া শহীদ মিনারে কিংবা অন্য কোন জায়গায় যেখানে পাবলিক জমায়েত হবে। জনগণের নেতা জনগণের মানুষ জনগণের মফিজ সাহেবকে দলের লোক না তিনি নারায়ণগঞ্জের কোন দলের প্রতিনিধিত্ব করেন নাই। মফিজ সাহেব কোন কোন দলের লোক না। উনি সব দলের লোকের কাছে তিনি শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন। তাই আমরা ২০ তারিখে আমার বাবার মৃত্যুবার্ষিকী। ২০ তারিখে আপনাদেরকে আমি দাওয়াত দিচ্ছি। আপনারা সবাই দয়া করে আল্লাহর ওয়াস্তে আছর নামাজের পর হীরামহলে আসবেন বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি রশিদ ভাই আছেন,আমাদের শুক্কুর ভাই আছেন,আরজু ভাই,আবেদ ভাই আছেন আপনাদের সকলকে বলবে দাওয়াত দিবে আপনারা সকলে আসবেন এবং আগামী ২৫ তারিখ বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জের শহীদ মিনারে সকল শ্রেণী পেশার মানুষের উদ্যোগে,আওয়ামীলী-যুবলীগ,ছাত্রলীগ,স্বেচ্ছাসেবকলীগ,মহিলা আওয়ামীলীগ নারায়ণগঞ্জে আমরা সবার উদ্যোগে বিশাল ভাবে আয়োজন করে আমাদের নেতার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবো। সেখানেই আলোচনা করবো মফিজ সাহেবকে স্মরণ রাখার জন্য স্থায়ীভাবে কি করা যায়। আমরাতো আর ওনাকে ফেরত পাবোনা আর আমরা ওনার জন্য কিছু করার ক্ষমতা রাখিনা আমরা শুধু দোয়া করতো পারবো। আমরা সবাই দোয়া করবেন যাতে আল্লাহ ওনাকে বেহেস্ত নসীব করেন। প্রয়াত মফিজুল ইসলামের ছোটভাই প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা বাবুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক বীরমুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ আবদুল হাই,জাতীয় শ্রমিকলীগের সভাপতি আলহাজ্ব শুক্কুর মাহমুদ,নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট খোকন সাহা,বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম এ রশীদ,বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য আলহাজ্ব আরজু রহমান ভূইয়া,নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মোঃ বাদল,নারায়ণগঞ্জ জেলা মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল,যুগ্ম সম্পাদক জিএম আরমান,শাহ নিজাম,রবিউল হোসেন,হাজী ওসমান গণি,সাবেক সদস্য আলহাজ্ব আব্দুল হক মাতবর,নারায়ণগঞ্জ শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভূইয়া সাজনু,ঢাকা বাদামতলী চাউল আড়দার সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নিজামউদ্দিন আহাম্মদ, প্রয়াত মফিজুল ইসলামের ভাতিজা ২০ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা সোহেল করিম রিপন,জেলা যুবলীগের শিক্ষা ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক মামুন আহমেদ ইমন,বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব কাদির ডিলার,ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবেদ হোসেন,যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সহিদুল হাসান মৃধা,আইন বিষয়ক সম্পাদক মোঃ নূর হোসেন,আওয়ামীলীগ নেতা মোবারক হোসেন,হাজী আলমগীর হোসেন,নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহাম্মদ দুলাল প্রধাণ,১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফয়সাল মোহাম্মদ সাগর,বন্দর উপজেলা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সানাউল্লাহ সানু,জেলা জাতীয় পার্টির নেতা মোঃ হুমায়ূন কবির,মহানগর ছাত্রলীগের আহবায়ক হাবিবুর রহমান রিয়াদ,যুগ্ম আহবায়ক হাসনাত রহমান বিন্দু,বন্দর থানা শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল জলিল সরকার,১৯ নং ওয়ার্ড শ্রমিকলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মোতাব্বের হোসেন,সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ নূর হোসেন,২০ নং ওয়ার্ড শ্রমিকলীগের সভাপতি আলহাজ্ব জসিমউদ্দিন আহমেদ,এম এ কাইয়ূম,ডাঃ মোঃ শফিউল্লাহ,জহিরুল ইসলাম মুন্সি,সোনাকান্দা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক মোঃ শাহজাহান,ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব মাসুম আহমেদ,আলমাস ভূইয়া,আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বন্দর থানা শাখা’র আহবায়ক শেখ কামাল হোসেন,ঢাকা বিভাগীয় শ্রমিকলীগ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক আসাদুজ্জামান খোকন,কেন্দ্রীয় আওয়ামী প্রচারলীগ নেতা আল আমিন সাগর,রবিউল আউয়াল রবি,কেন্দ্রীয় চলচ্চিত্রলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন মদিল,বন্দর থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান কমল,যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শেখ মাঈনুদ্দিন মানু,১৯ নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা আনোয়ার জওদাদ শিশির,২১ নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা সামসুল হাসান,২৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা সাইদুজ্জামান শাকিল,মনিরুল ইসলাম মনু,রানা প্রধাণ,২০ নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মহসিন জালাল মনি,বন্দর থানা ছাত্রলীগ নেতা ওয়াহিদুজ্জামান অহিদ,নূর মোহাম্মদ দেওয়ান সিয়াপ,হাসিবুল হক জিসান,মিশুক,আরাফাত কবির ফাহিম, ১৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা ওয়াদুদ হোসেন টিটু,মদনপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রচার ও প্রকাশণা বিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা ভূইয়া,স্থানীয় সমাজ সেবক হাজী আব্দুল খালেকসহ অন্যান্য ব্যাক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন৭১ চেতনা মঞ্চের নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা’র সভাপতি এম এ রাসেল। বিশেষ অতিথি’র বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক আব্দুল হাই মাহমুদনগর কেএনসেন রোডটি ভাষা সৈনিক মফিজুল ইসলামের নামানুসারে নামকরণের জন্য নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভীকে অনুরোধ জানান। এর আগে মরহুম মফিজুল ইসলামের কবরে পুস্পার্ঘ অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক বীরমুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ আবদুল হাই,বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম এ রশীদসহ আরো অনেকে। এ সময় মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক হাসনাত রহমান বিন্দু,থানা ছাত্রলীগ নেতা নূর মোহাম্মদ দেওয়ান সিয়াপ,হাসিবুল হক জিসানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।