বিজয় বার্তা ২৪ডেস্ক
রত্নাগর্ভা মা নাগিনা জোহা ইন্তেকাল করেছেন (ইনল্লাহ……….. রাজিউন)। সোমবার( ৭ মার্চ) দুপুর ১টা ১০ মিনিটে ইউনাইটেড হাসপাতালের চিকিৎসকতাকে মৃত ঘোষণা করেন। রোববার দুপুর থেকে তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। এর আগে ১ মার্চ বাধ্যর্ক জনিত কারনে অসুস্থ্য হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
শহরের খানপুর এলাকায় বাদ আসর তার নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
মৃত্যুর পূর্বে নাগিনা জোহা দুই ছেলে, ও দুই মেয়ে সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
নাগিনা জোহা নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান ও নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানের মা। একই সাথে তিনি নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী ওসমান পরিবারের পূত্রবধূ এবং একজন ভাষা সৈনিক।
সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমান তাদের মায়ের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন।
উল্লেখ্য নাগিনা জোহা ১৯৩৫ সালে অবিভক্ত বাংলার বর্ধমান জেলার কাশেম নগরে জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁদের পরিবারের পূর্বপুরুষদের নামানুসারে গ্রামটির নামকরণ করা হয়। বাবা আবুল হাসনাত ছিলেন সমাজ হিতৈষী ও কাশেম নগরের জমিদার। তিনি শিল্প-সংস্কৃতির পৃষ্ঠ পোষকতায় বিশেষ সুনাম অর্জন করেন। নাগিনা জোহার বড় চাচা আবুল কাশেমের ছেলে আবুল হাশিম ছিলেন অবিভক্ত ভারতবর্ষের মুসলীম লীগের সেক্রেটারি ও এমএলএ। চাচাতো ভাই মাহবুব জাহেদী ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদের সদস্য ছিলেন। ভাগ্নে পশ্চিমবঙ্গের কমিউনিস্ট নেতা সৈয়দ মনসুর হাবিবুল্লাহ রাজ্য সভার স্পিকার ছিলেন। নাগিনা জোহা ১৯৫০ সালে কলকাতা বিশ্ববিদালয়ের অধীনে মেট্টিক পাস করেন। ১৯৫১ সালে নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী ওসমান পরিবারের সন্তান রাজনীতিবিদ এ কে এম শামছুজ্জোহার সঙ্গে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন। স্বামীর বাড়িতে নতুন বউ হিসেবে এসেই ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। তাঁর শ্বশুর তৎকালীন এমএলএ খান সাহেব ওসমান আলীর চাষাঢ়ার বাড়ি ‘বায়তুল আমান’ ছিল আন্দোলন সংগ্রামের কেন্দ্রবিন্দু।