বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে। দুপুরে রংপুরের কালেক্টরেট ঈদগাঁও মাঠের গণসমাবেশস্থল জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। অলিগলিতেও দাঁড়ানোর ঠাঁই নেই। শনিবার (২৯ অক্টোবর) বেলা ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেলা ১২টায় কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সমাবেশ শুরু হয়।
দুপুরের আগেই গণসমাবেশস্থল কাণায় কাণায় পূর্ণ হয়ে গেছে। সমাবেশস্থল ছাড়িয়ে নেতাকর্মীদের ভিড় রাস্তায় চলে গেছে। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছে সমাবেশস্থল। তীব্র রৌদ্রের মধ্যেও কেন্দ্রীয় নেতাদের বক্তব্য শুনতে মুখিয়ে আছেন বিভাগের আট জেলা থেকে আসা নেতাকমীরা। মঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। তবে মাঠে জায়গা না পেয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক ও সড়কের অলিগলিতে অবস্থান নিয়েছেন নেতাকর্মীরা।
সমাবেশস্থলের চারদিকে প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তা কাণায় কাণায় পূর্ণ। হাঁটা-চলার মতোও নেই পরিবেশ। এদিকে এখনো বিভিন্ন জেলা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিলে নিয়ে আসছেন নেতাকর্মীরা। তবে মাঠ ও রাস্তাঘাট নেতাকর্মীদের চাপে মিছিলগুলো সমাবেশস্থলে পৌঁচ্ছাতে পারছে না।
এদিকে রংপুরের সমাবেশের মঞ্চে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্য একটি ফাঁকা আসন রাখা হয়েছে। এর আগে ময়ময়সিংহ ও খুলনা বিএনপির সমাবেশে এমনটি রাখা হয়েছে। বিএনপি নেতারা বলছেন, অন্যায়ভাবে খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছে সরকার। তিনি মুক্ত থাকলে এখানে উপস্থিত থাকতেন। তাই আসন ফাঁকা রাখা হয়েছে।
জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, দলীয় কর্মসূচিতে গুলি করে নেতাকর্মীদের হত্যার প্রতিবাদ এবং নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপক্ষে সরকারের দাবিতে বিভাগীয় (দলের সাংগঠনিক বিভাগ) পর্যায়ে সমাবেশ করছে বিএনপি। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগীয় সমাবেশ সম্পন্ন করেছে দলটি।
গত ২২ জুলাই থেকে শুরু হওয়া বিএনপির ইস্যুভিত্তিক এই আন্দোলন বিভাগীয় পর্যায়ের গণসমাবেশের কর্মসূচিতে রূপ নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের, ময়মনসিংহ ও খুলনার পর ধারাবাহিকভাবে আজ ২৯ অক্টোবর রংপুরে, ৫ নভেম্বর বরিশালে, ১২ নভেম্বর ফরিদপুরে, ১৯ নভেম্বর সিলেটে, ২৬ নভেম্বর কুমিল্লায় এবং ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে গণসমাবেশ করবে দলটি। সবশেষ ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।