নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
যোগদানের ১দিন না পেরুতেই ভূয়া একটি মামলা এন্ট্রি করলেন ঢাকা রেঞ্জ হতে বদলী হওয়া ও বন্দর থানায় সদ্য দায়িত্বগ্রহণরত ওসি আবুল কালাম আজাদ। ২ শে ফেব্রুয়ারী রাতে অদৃশ্য শক্তির ইশারায় তিনি ওই মামলাটি গ্রহণ করেন। এ ঘটনায় গোটা বন্দর জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। সূত্র মতে,দক্ষিণ ঘারমোড়া বগাপট্রি এলাকার মৃত আমির আলীর ছেলে জহর আলী গতকাল বুধবার বিকেল ৫টায় একই এলাকার মৃত কালাচান মিয়ার ছেলে সালাউদ্দিনের বাড়ির সীমানায় গিয়ে তাদের বড়ই গাছ কাটতে থাকে। গাছ কাটতে দেখে সালাউদ্দিন বাধা দিলে এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাক-বিতন্ডা হলে এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তার সহযোগী মৃত আমির আলীর ছেলে জহর আলী,নাসিরউদ্দিনের ছেলে মুন্না, এছহাক আলীর ছেলে মামুন,এছেক আলী’র স্ত্রী রোকেয়া,হাসমতউল্লাহর স্ত্রী ফিরোজা বেগমসহ আরো ৪/৫জনের একটি সংঘবদ্ধ দল ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। জহর আলী গংয়ের হামলায় ঘটনাস্থলেই সালাউদ্দিন(৪০)তার স্ত্রী রুবি(৩৫),মেয়ে রিয়া মনি(১৫) ও ভাই মাইনুদ্দিন(৫২) গুরুতর আহত হয়। আহতদের ডাক চিৎকারে আশ পাশের লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। আহত সালাউদ্দিনের মাথায় ১৪টি সেলাই দেয়া হয়। এ ঘটনায় বিবাদী পক্ষের লোকজন ক্ষমতাসীন দলের জনৈক নেতার সহায়তায় থানায় পর পর দু’বার ভূয়া লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ দুই দফা গিয়েও প্রতারক এছহাকের অভিযোগের সত্যতা না পেয়ে ফিরে আসে। সে সময় নীতিবান অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলামকে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজের চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়। এরই মধ্যে গত ১৯ ফেব্রুয়ারী ওসি নজরুল অন্যত্র বদলী আদেশ হলে তার স্থলে যোগদান করেন ঢাকা রেঞ্জের কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ। যোগদান করেই ওইদিন রাতে অদৃশ্য শক্তির ইশারায় নিরীহ সালাউদ্দিন গংয়ের বিরুদ্ধে ভূয়া মামলা এন্ট্রি করেন। যার নং ২৪(২)১৬ইং। এ ব্যাপারে ঘারমোড়া এলাকার পঞ্চায়েতের কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান,যেখানে সালাউদ্দিন ও মাঈনুদ্দিন গংকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হলো থানায় মামলাও হলো সেখানে ওই মামলা ঠেকাতে ভূয়া মামলা এন্ট্রির কোন যৌক্তিকতা নেই। তদন্তপূর্বক জেলা পুলিশ সুপারের ব্যবস্থা নেয়া দরকার।