স্টাফ রিপোর্টার,বিজয় বার্তা ২৪
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, এখন যে পাঠসূচি আসছে তাতে শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের কথা নয়, যুদ্ধাপরাধীদের কী ভূমিকা ছিল সেটাও লিপিবদ্ধ থাকবে। কারণ একতরফা শুনে বিচার হয় না।
বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) গাজীপুর ক্যাম্পাসে মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, পাঠ্যসূচির পাশাপাশি বিসিএস পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে।
মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমান সেক্টর কমান্ডার হিসেবে মুজিবনগর সরকারের অধীনে যুদ্ধ করতে প্রথমে অস্বীকৃতি জানায়। তিনি ওয়ার কাউন্সিল করে যুদ্ধ করার প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান যে সত্যিকারভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করেন না সেটা তখন থেকেই বোঝা যায়। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিদেশ চলে যাওয়া, চাকরিতে পুনর্বাসন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার করা যাবে না বলে আইন পাস এবং তাদের নিয়ে মন্ত্রী পরিষদ গঠন করেছিল।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান যতজনকে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়েছেন, তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা অফিসার। এ থেকে বোঝা যায় তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে কখনোই ধারণ করেননি। সেজন্য আমি মনে করি, একটি কমিশনের মাধ্যমে তদন্ত করে জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার করতে হবে।
বাউবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ, গাজীপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কাজী মোজাম্মেল হক, বাউবির রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আবুল হোসাইন ভূইয়া।