নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
বন্দরের কুতুবিয়া দরবার শরীফের পীর আলহাজ্ব হযরতুল আল্লামা শাহ মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মমিন(মাঃ জিঃ আঃ) সাহেব বলেছেন,ইসলাম শান্তির ধর্ম। প্রত্যেক মুসলমানের উচিত শান্তি রক্ষায় ইসলামের আদেশ নির্দেশ মোতাবেক পরিচালিত করা। গতকাল শুক্রবার পীরে মোকাম্মেল,মোর্শেদে কামেল,আল হযরত মাওলানা শাহ সৈয়দ কুত্বুর রাহমান(রাঃ) এর ৪৫তম তম বার্ষিকী ওরশ মোবারক উপলক্ষ্যে আলোচনাকালে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন,ধর্ম প্রচারের জন্য আমার কাজ না। সকল জাতিকে এক করাই হচ্ছে আমাদের লক্ষ্য। সৃষ্টির সেরা জীব যেহেতু মানুষ সেহেতু মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ রাখলে চলেনা। ইসলামের আইন নিজের মধ্যে যে পালণ করে সে-ই ভাল থাকে। জামায়াত-শিবির গলা কেটে মানুষ পুড়িয়ে শহীদ হতে চায়। যারা মানুষ পুড়িয়ে গলা কেটে মানুষ হত্যা করবে তারা সবার আগে জাহান্নামে যাবে। আমি ৭৯ সালে বন্দর থানা ছাত্রলীগের আহবায়ক ছিলাম। ছাত্র রাজনীতির ভবিষ্যত তখন ভাল ছিলনা বলে রাজনীতিকে গুডবাই জানিয়েছে। সে সময় প্রয়াত সাংসদ একে এম শামসুজ্জোহা সাহেব আমাকে অনেক ¯েœহ করতেন। তার মধ্যে গহীণ ভালবাসা ছিল। তার বদৌলতে একবার বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাত করতে পেরেছিলাম বঙ্গবন্ধু সত্যিকারের একজন দেশপ্রেমিক ছিলেন। তার কণ্যা শেখ হাসিনাও হয়েছেন মায়ের মতোই একেবারেই মায়াবীয়। তিনি দেশের জন্য কিছুই করতে পারবেননা কারণ,তার মায়া বেশি,তিনি মানুষকে অতি সহজেই আপন করে নেন। আমি মনে করি তাঁকে আরো কঠোর হতে হবে। প্রতিবছরের শুক্রবারও যথাযথভাবে ন্যায় দরবার শরীফে ওরশ মোবারক সম্পন্ন হয়েছে। ওরশ মোবারকে দরবার পরিদর্শণ করেন নারায়ণগঞ্জের সংরক্ষিত আসনের মহিলা সংদ সদস্য এ্যাডভোকেট হোসনে আরা বাবলী। এ সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আলহাজ্ব আবুল জাহেরও উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ওরশ মোবারকের মূল অনুষ্ঠানে এ প্রধাণ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব-িবাড়ীয়া মাছিয়াতো দরবার শরীফের পীরে কামেল হযরত মাওলানা শাহ সৈয়দ ওবায়েদুর রহমান। প্রধাণ বক্তা ছিলেন অন্তজার্তিক খ্যাতিসম্পন্ন বক্তা মুফাচ্ছেরে কোরআন আলহাজ্ব হযরতুল আল্লামা আশ্রাফুজ্জামান আল-কাদরী। বিশেষ বক্তা ছিলেন আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতি আলী আকবর,আশেকে রাসুল মুফতীয়ে আযম গোলাম মোস্তফা জামী,মুনাজেরে আহলে সুন্নাহ,কহু গ্রন্থ প্রণেতা মুফতি আলাউদ্দিন জিহাদী,আলহাজ্ব হযরত মাওলানা গাজী তামিম বিল্লাহ আল-কাদরী ও হযরত মাওলানা আহমদ রেজা ফারুকী। এতে নাতে রাসুল পরিবেশণ করেন শায়ের মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম মুঈন।