বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জ- ৪ আসনের নৌকার প্রার্থী সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, হরতাল ও অবরোধ নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের মধ্যে পড়ে। নারায়ণগঞ্জে কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনা বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব নারায়ণগঞ্জ নির্বাচন কমিশনের। এগুলো যথাযথ ব্যবস্থা নিতে না পারলে সুষ্ঠু নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। এতে করে ১৮ কোটি মানুষের মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি হতে পারে। তাই আমি নারায়ণগঞ্জে হরতাল অবরোধ ও নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন যেন না হয়, সে বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ নির্বাচন কমিশন তথা প্রশাসনকে যুগোপযোগী ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ দিচ্ছি। মঙ্গলবার বিকালে নির্বাচনী প্রচারনার প্রথম দিনে ফতুল্লার কাশীপুর এলাকায় নির্বাচানী প্রচারণাকালে সাংবাদিকদের সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিং এ তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে ওই এলাকার নূর মসজিদ সংলগ্ন মাঠে উঠান বৈঠকে শামীম ওসমান বলেন, “আমি ভোট ভিক্ষা চাই না। এসব ভন্ডামি ভালো লাগে না। নির্বাচন আসলেই কোন মসজিদে গেলেন। সেখানে উন্নয়ন কাজের টাকা দিলেন। এরপর ভোট চাইলেন এসব নাটক ভালো না। আপনারা যদি মনে করেন আমি আপনার জন্য কাজ করতে পেরেছি তার মূল্যায়ন করবেন। ১২ থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন করেছি। এখন নারাণয়গঞ্জে আরেকটা কাজ হলো মেট্রোরেল আনব। ওয়াদা দিলাম। আর উন্নয়ন এখন যেটা বাকী আছে সেটা হলো- মানুষের বাড়ির দরজায় সিঁড়ি নির্মাণ করে দেয়া। ৮৫ ভাগ উন্নয়ন কাজ শেষ করেছি। বিনিময়ে ভোট চাই না। চাই শুধু দোয়া চাই যে, আগামীতে আপনার জন্য বাকী কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারি। বিশেষ করে আল্লাহর ঘর মক্কা ও রসূলের রজওয়া গিয়ে ওয়াদা করেছি যে , নারায়ণগঞ্জকে মাদকমুক্ত করব। এটাই আপানাদের সবাইকে নিয়ে করব ইনশাল্লাহ”।
উঠান বৈঠক শেষে পাড়া মহল্লার অলিগলিতে ভোটারদের সঙ্গে কৌশল বিনিময় করেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল, মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজা, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু, আওয়ামীলীগ নেতা জাকিরুল আলম হেলাল ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানিসহ প্রমুখ।