বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
ম্যাডাম আমাকে নমিনেশন দেন আমার জয় শতবাক নিশ্চিত বিএনপির চেয়াপার্সন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব ফেসবুকে এসব কথা লিখেন।
মঙ্গলবার বিকেলে তার ফেসবুক আইডি থেকে তিনি আগামী সাংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির দলীয় নেতাদের দৌড়ঝাপ প্রসঙ্গে ব্যঙ্গাতভাবে এই মন্তব্য করেন।
পাঠকদের সুবিধার্থে তার স্ট্যাটাসটি হুবহু তোলা ধরা হল, ম্যাডাম আমাকে নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি আসনেই মনোনয়ন দেন পারলে ঢাকা বিভাগেরও দুই একটা দিতে পারেন বিপুল ভোটে পাস ও থুক্কু কাটাছেড়া সংবিধানে নাকি ৩টার বেশি হয়না তাহলে ৩টাই দিয়েন। পাস শতভাগ কনর্ফাম। কারন আমি যে অনেক বেশি যোগ্য আমার সাথে আছে ডান বাম সামনে আছে বড় ভাই পকেটে আছে স্থায়ী বাসিন্দা আর পিছনে আইক্কাওয়ালা বাঁশ দেয়ার দুইএকজন যা থাকব অইগুলারে কিছু ছিটাইলে বাঁশ ঘুরাইয়া দিব অন্যদিকে আর ফেনা তুইল্লা লাইব জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ কইতে আর কর্মীরা ওরা ত সব আমার লগেই আসলে ওরা ছাগলের ৫ নম্বর বাচ্চা ১০/১২ বছর খবর লইনাই ত কি হইছে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে থাকিনাই ত কি হইছে মার্কা পাইলে জান দিয়া হালাইব কারন ওরা জে সত্যি জিয়ার সৈনিক জিয়া পরিবার ছাড়া কিছু বুঝেনা।আর এটাই ত আমাদের সবচেয়ে বড় সুবিধা।৫০ টাকা কেজি চাল তাতে আমার কি ৫০০ হলেও অসুবিধা নাই,বিদ্যু এত দাম তারপরেও থাকেনা তাতে কি আইপিএস আছেনা,শিক্ষা ব্যবস্থা ধংস তাতে কি ছেলে মেয়ে বিদেশে পড়াই, হরতালে আমার কারখানা ঠিকই চলে, ঘুষ,দূর্নীতি,গুম চারিদিকে আর এগুলো না থাকলে এমপি হউমু কেমনে এটাই এখন আৃমাদের চরিত্র।
রাজনীতি আজ আদর্শহীন এগুলো পুরান কথা কিন্তু ৪ দিন বালুর গাড়ি দিয়ে আটকিয়ে রাখার পরও যাদের সামর্থ্য থাকার পরেও বাড়ির সামনে যাওয়ার প্রয়োজন মনে করেনা,অসুস্থতা সত্তেও দলের প্রধান মাসে ৪/৫ বার অন্যায় ভাবে কোর্টে হাযিরা দিলেও যাদের মনে কোন ভাবান্তর দেখা যায়না,দলের সর্বোচ্চ নেতার সাজা হয়ে যাওয়ার পরও যাদের রাজপথে দেখা যায়না তারা এমপি হলে কি হবে! উপকার হবে কি দেশের,দলের কিংবা সমাজের উত্তর একটাই——- না- না- না।
তাই সময় এসেছে ভাববার একবার নয় শতবার।