বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
মোটর সাইকেলের হর্ণ দেয়ার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের স্টাফ সুমন সরকারকে প্রকাশ্যে পিটিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল ও তার সহযোগীরা। এই ঘটনায় আদালতপাড়ায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। এক পুলিশ সদস্য বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাকেও লাঞ্ছিত করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জের আদালতপাড়ায় হেফাজতের মামলায় রফিউর রাব্বির হাজিরা উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জড়ো হলে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে হেফাজতে ইসলামীর মামলায় রফিউর রাব্বির সমনের দিন ধার্য্য ছিল। এ কারণে সকাল থেকে আদালতপাড়ায় আওয়ামী লীগ ও হেফাজতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা আদালতপাড়ার প্রবেশপথসহ অবস্থান নেয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের স্টাফ সুমন সরকার মোটর সাইকেলযোগে আদালতপাড়ায় তার কর্মস্থলে আসেন। এসময় মানুষের জটলা দেখে তিনি মোটর সাইকেলের হর্ণ বাজান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাকে কিল ঘুষি মারধর করেন। এক পর্যায়ে মোটর সাইকেল আরোহী সুমন সরকারকে টেনে হেচড়ে মোটর সাইকেল থেকে নামিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মোহাম্মদ বাদলের কাছে নিয়ে যাওয়ায়। এসময় তিনি মোটর সাইকেল আরোহী সুমনা সরকারকে এলোপাথাড়ি কিল ঘুষি মেরে পেটান। আদালত পাড়ায় উপস্থিত পুলিশ সদস্য তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাকেও লাঞ্ছিত করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।