নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান বলেছেন, সাংবাদিকদের মাধ্যমে মাননীয় মেয়র মহোদয়কে অনুরোধ করবো ওনার সিটি কর্পোরেশনের যদি কোন জমি থাকে তাহলে ভোটের জন্য নয় আমার বন্দরবাসী’র স্বার্থে কাজে লাগে সে ব্যাপারে সহযোগিতা করতে। ইউএনও’র বাসভবনে গ্রীল কেটে চুরি খূবই জগণ্য ব্যাপার। তার বাড়িতে চুরি করে আবার তারই অপসারণ চাওয়া চুরি চুরি আবার সিনাজুড়ি। ইউএনও’র প্রতি নির্দেশ ২৪ ঘন্টার কার্য দিবসের মধ্যে পুলিশের তদন্তে অভিযুক্ত ২ দোষৗকে কর্মচ্যুত করুন। যদি বদলীর আদেশের নিয়ম থাকে সেটাও করতে পারেন। কিন্তু এইসব লোক যেখানে থাকবে সেখানেই এ ধরণের ঘটনার জন্ম দিবে। এদেরকে এই চাকুরী থেকে বরখাস্ত করাই উচিত।
রোববার সকাল ১০টায় বন্দর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় প্রধাণ অতিথি’র বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বন্দরে দু’টি সমস্যাই সবচেয়ে জটিল,একটি হচ্ছে যানজট অপরটি পরিবেশ। ব্যাটারী চালিত অবৈধ রিকশার কারণে কোথাও মুভ করা যায়না। এই যানটাকে একটা লিমিটেশনে অঅনতে হবে। আমি বলবোনা বাদ দিতে হবে শুধু নিয়ন্ত্রণে আনলেই চলবে।
সেলিম ওসমান আরো বলেন,আজ না হোক কাল শীতলক্ষ্যা সেতু হবেই। এক সময় দেখা যাবে এই রাস্তার জন্য ব্রীজের সমস্যা হতে পারে। আমি খুব কষ্ট পেয়েছি আজকে বন্দর হয়ে আসার সময় এই সমস্যা থেকে আমাদেরকে উত্তরণ হতে হবে।
বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিনারা নাজমীনের সভাপতিত্বে সভায় অংশ নেন বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুল,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মাহমুদা আক্তার,বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম এ রশীদ,নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ আবুল জাহের,মহান ভাষা সৈনিক আলহাজ্ব এম এ আসগর,বন্দর থানা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবেদ হোসেন,ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আয়নাল হক,কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব দেলোয়ার হোসেন প্রধাণ,মুসাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাকসুদ হোসেন,বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসানউদ্দিন আহাম্মদ,মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম এ সালাম,উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আ ক ম নূরুল আমিন,উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আফতাবউদ্দিন আহাম্মদ,পল্লী বিদ্যুত সমিতি বন্দর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোঃ জাকির হোসেন,প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফেরদৌস আরা বেগম,মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোর্শেদা মমতাজ,যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ফেরদৌসী বেগম,হ্জাী ইব্রাহিম আলমচান মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আহাম্মদ হালিম মযহার,বন্দর থানা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাব্বির আহমেদ সেন্টু,সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ ফিরোজ খানসহ অন্যান্য ব্যাক্তিবর্গ।
তিনি আরো বলেন,আমিতো অবাক হয়ে গেছি আমাদের বাচ্চারা ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে জানেনা,স্বাধীনতা সম্পর্কে জানেনা। তাহলে তারা জানেটা কি। টেবিলে বসে আইন সংশোধন করা যায়না,কোন আইন রাতারাতি সৃষ্টি করা যায়না,জোর করে আইন প্রয়োগও করা যাবেওনা। জনগণের সহায়তা ছাড়া কিছুতেই সফলতা মিলবেনা। আমি দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে একসাথে কাজ করছি এটাই সবচেয়ে বড় সফলতা। সবাই এক টেবিলে বসেন এক সাথে থাকেন আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি আপনাদের বন্দরে কোন মাদক থাকবেনা,আপনাদের বন্দরে শুধু শিল্পায়ন হবে। আমি মনে করি এই বন্দরে একটি ব্রীজ অত্যন্ত প্রয়োজন। ৬৫ হাজার মানুষকে একত্রে করে একটি সঙ্গীতানুষ্ঠান করতে পেরেছি,কদমরসুল কলেজে একটা সফল অনুষ্ঠান করতে পেরেছি এখানে আমার কোন কৃতিত্ব থাকতনা যদি জনগণের সহযোগিতা না থাকতো। আইন শৃঙ্খলা মিটিংয়ে যে কাউকে রাখা যেতে পারে,এখানে গোপন রাখার কিছু নেই। সাংবাদিক ভাইদের বলবো আপনারা আমার কাছে এক মাসের রিপোর্ট দেন। আইন শৃঙ্খলা নিয়ে কোথায় কি ঘাটতি। আমার কোন চেয়ারম্যান যদি কিছু করে থাকে সেটাও আমাকে জানান। তবে অনুরোধ থাকবে কারো কান কথা শুনে রিপোর্ট করবেননা। সাংবাদিকরা কালোকে কালো বলবে,সাদাকে সাদা বলুক এটাই আমি বলবো। আপনারা সব সময় যদি আমাকে এভাবে সহায়তা করেন তাহলে অয়ব দিতে পারি এই বন্দর শিল্পায়নে পরিপূর্ণ হবে,শিল্পক্ষেত্রে এই বন্দর জাতীয় পর্যায়ে রেকর্ড করবে। আমরা একত্রে কাজ করলে যে কোন ভয়ংকর জিনিসকে স্বাভাবিক করতে পারবো আবার সাধারণ জিনিসকেও অসাধারণ করা যাবে। পহেলা ফাল্গুন ৫শ’ নারীকে উদ্যোক্তা হিসেবে সাবলম্বী হওয়ার জন্য মেশিণ দেয়া হবে। অচিরেই ৩শ’ যুবক ছেলেকে ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে কর্মক্ষম হিসেবে গড়ে তোলা হবে। কষ্ট করলে লজ্জা কিসের। মাননীয় প্রধাণমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছি যুব উন্নয়ননের জন্য স্কুলগুলোতে বিভিন্ন ট্রেনিং সেন্টার করে দিব। রাজনীতি আমার নেশা না রাজনীতি আমার পেশা না। আমি ব্যবসা শুরু করেছিলাম ১৯৭৬ সালে আল্লাহর রহমতে। আমার প্রতিষ্ঠানের এ যাবত আড়াইহাজার পরিবার জীবিকা নির্বাহ করেছে এই বন্দরের। ১শ’ ৭৫জন হাজী যারা বৃদ্ধ হয়ে গেছেন। নবীগঞ্জে যদি রাজনীতি না থাকে তাহলে কদমরসুল কলেজকে আমি আন্তজার্তিক মানে বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপান্তরিত করবো।