স্টাফ রিপোর্টার,বিজয় বার্তা ২৪
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধে মুজিবনগর সরকারের গুরুত্ব ও ভূমিকা ছিল অপরিসীম।
ঐতিহাসিক ‘মুজিবনগর দিবস’ উপলক্ষে শনিবার এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাসহ বিশ্ব দরবারে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে জনমত সৃষ্টি, শরণার্থীদের সহায়তা, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ও সহায় সম্বলহীন জনগণের পাশে দাঁড়ানোসহ মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকার পরিচালনায় নবগঠিত এ সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ সরকারের যোগ্য নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনায় মুক্তিযুদ্ধ দ্রুত সফল পরিসমাপ্তির দিকে এগিয়ে যায় এবং ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে মুজিবনগর সরকারের গুরুত্ব ও অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। মুজিবনগর সরকার গঠনে যারা সহযোগিতা করেছিলেন তাদের অবদানকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশকে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এ জন্য গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাসহ সার্বিক উন্নয়ন অপরিহার্য। আমরা ইতিমধ্যে জাতীয় জীবনে নারীর ক্ষমতায়ন, কৃষি, খাদ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গ্রামীণ অবকাঠামো, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, তথ্যপ্রযুক্তি, বেসরকারি খাতে উন্নয়নসহ বিভিন্ন অগ্রগতি অর্জন করেছি। সরকার এ উন্নয়ন কার্যক্রমকে বেগবান করতে ‘রূপকল্প ২০২১’ ও ‘রূপকল্প ২০৪১’ ঘোষণা করেছে। এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা দেশকে একটি সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে সক্ষম হব।
রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন মহান স্বাধীনতা। স্বাধীনতা সংগ্রামের গৌরবময় ইতিহাস তরুণ প্রজন্মের কাছে সঠিকভাবে তুলে ধরা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, দেশের তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানার পাশাপাশি দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতিগঠনমূলক কাজে অবদান রাখবে।
১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠিত হয়। ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে। পাশাপাশি এদিন স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ অনুমোদন করা হয়।