বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মাসদাইর এলাকায় ফতুল্লা মডেল থানার এ এস আই আ.গাফ্ফার তালুকদার ও তার সংগীয় নিয়ে মাদক বিক্রেতা হাবিব ওরফে হাবুকে আটক করলে অপর মাদক ব্যবসায়ী সাব্বির হোসেন ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা পুলিশের গাড়ীর উপর হামলা চালিয়ে ভাংচুর সহ আসামী ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।
এ ঘটনা ঘটেছে ২৭ জুলাই( বৃহস্পতিবার) দুপুরে পশ্চিম মাসদাইর জামালের রিক্সা গ্যারেজ এলাকায়। ঘটনা স্থলে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে নারায়নগঞ্জ জেলার ‘ক’ অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরফুদ্দীন আসামী হাবিব ও সহ পুলিশ নিয়ে থানায় আসেন। এরকিছুক্ষন পরে ফতুল্লা মডেল থানা অফিসার ইনচার্জসহ থানার দুটি পুলিশের টীম নিয়ে ঘটনা স্থল পরিদর্শণ করেন। এসময় হাবিবের সহযোগি রনি(২৫) কে জিজ্ঞাসাবাদের আটক করেন পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকা সূত্রেজানাযায়, ফতুল্লা মডেল থানা এ এসআই আ. গাফ্ফার তালুকদার ও তার সংগীও ফোর্স নিয়ে ২৭জুলাইু দুপুরে পশ্চিম মাসদাইর ছোট মসজীদ এলাকায় সিভিল পোশাকে মাদকের বিশেষ অভিযান চালায় । এ অভিযান চালিয়ে হাবিব ওরফে হাবু(৩০)কে গ্রেপ্তার করে। এসময় আরেক মাদক ডিলার সন্ত্রাসী সাব্বির হোসেন(৩০) তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে হাবিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়ার জন্য পুলিশ ও পুলিশের বহনকারী সিএনজি‘র উপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা পশ্চিম মাসদাইর এলাকা হতে সিএনজি টানা হেচড়া করে আধা কিলোমিটার দূরে জামালের রিক্সার গ্যারেজের পাশে নিয়ে আসে।(সিএনজি‘র রেজিষ্ট্রেশন নম্বর ঢাকা-থ-১৪-০৬৭৩) । এসময় পুলিশ কৌশলে সিএনজি‘র সাথে হাবিবের হ্যান্ডক্যাপ পড়িয়ে আটক করে রাখে। অতৎপর মাদক স¤্রাট সাব্বির ও তার দলবলসহ হাবিবকে ছিনিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়। পরে সাব্বিরকেও পুলিশ আটক করে সিএনজি‘র ভেতর রাখেন। হাবিরের কাছে ২শ’পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পেয়েছেন।রহস্য জনক কারনে হামলাকারীর মূল হোতা মাদক স¤্রাট সাব্বিরকে ঘটনা স্থলেই ছেড়ে আসেন। পুলিশের সামনে দাম্ভিকতার সাথে সাব্বির বলেন আমি জাহাঙ্গির সাহেবের ছেলে আমাকে কেন ধরছেন এতবড় সাহস আপনি পেলেন কোথায় এমনটাই বললেন উপস্থিত জনতা। পরে ফতুল্লা মডেল থানার নারায়নগঞ্জ জেলার “ক”অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরফুদ্দীন ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেএবং গ্রেপ্তারকৃত মাদক বিক্রেতা হাবিবকে থানায় নিয়ে আসে। অতঃপর ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামাল উদ্দিন ও থানার এস আই মিজানুর রহমানের টিম এবং এসআই নাহিদ আহম্মেদের টিম সহ ঘটনা স্থলে পরিদর্শন করেন। এসময় হাব্বিরের সহযোগি আরেক মাদক বিক্রেতা রনিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এএসআই কামরুল হাসান আটক করেন। সাব্বিরের আলিশান বাড়ির পাশে তার রিক্সার গ্যারেজে টর্চার সেল নামক একটি কক্ষ রয়েছে এমনটাই বললেন এলাকাবাসী। পুলিশের গাড়ীতে হামলার যিনি পরিকল্পনাকারী তিনিই ছাড়া পেলেন এনিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে ।
অপরদিকে, এএস আই আ. গাফ্ফার তালুকদারের মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন , সাব্বির আমাকে সেইফ করেছে তাই সার্কেল স্যারের সাথে কথা বলে ছেড়ে দেই।
অফিসার ইনচার্জ কামাল উদ্দিন জানান, যারা পুলিশের গাড়ী ও পুলিশ সদস্যের উপরে হামলা চালিয়েছে তাদের কে ছাড় দেয়া হবেনা। সাব্বিরসহ যারা এর সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে মাদক ও পুলিশ সংক্রান্ত মামলা হবে।
##################