গৌতম রায়,কুয়ালালামপুর,মালয়েশিয়া,বিজয় বার্তা ২৪
অতিরিক্ত লেভী ফি নিয়ে ফুঁসে উঠেছে মালয়েশিয়ার মালিকপক্ষ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা। কারো সাথে কোন আলোচনা ছাড়াই হুট করে একদিনের ঘোষনায় শ্রমিকের লেভী বাড়ানো হয়েছে অনেক বেশী। যা মূলত: সর্বনিম্ন বেতনের প্রায় ২৫% কর দিতে হবে সরকারকে। অনেকে বলছেন শ্রমিক দিয়ে এ ব্যবসা অমানবিক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জাহিদ হামিদী তাই চীনা নববর্ষের ছুটির পর মালিকপক্ষের সাথে বৈঠকের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ধারনা করা হচ্ছে, লেভী বিষয়ে সরকারের ঘোষনার পরিবর্তন হতে পারে।
মালিকদের বলা হয়েছে ১৫ ফেব্রুয়ারী থেকে অবৈধ শ্রমিকদের অনলাইনে রেজিষ্ট্রেশন করতে। শ্রমিকদের বলা হয়নি ওয়ার্ক পারমিট করার কথা। আর লেভী নিয়ে ফয়সালার আগে ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে সংকট থাকতে পারে। এছাড়া ২০ লাখ অবৈধ বিদেশী শ্রমিককে বৈধকরনের জন্য যে ধরনের প্রস্তুতি থাকা দরকার সরকার থেকে সে রকম কোন প্রস্তুতি নেয়া হয়নি বলে জানিয়েছে বিভিন্ন সূত্র। এবার সরকারের বৈধকরনের সম্ভাবনা এসেছে শ্রমিক চাহিদার প্রতি আগ্রহ থেকে নয়। মালয়েশিয়ায় অর্থনৈতিক সংকট উত্তরনের একটা পন্থা হচ্ছে অবৈধ ২০ লাখ শ্রমিককে বৈধ করে আয়ের উৎস হিসাবে। সেখানে শ্রমিক স্বার্থ কতটা লাভবান হবে সেটাই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। একদিকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি অপরদিকে কাজের চাহিদা কমে যাওয়ার পর অতিরিক্ত লেভী ফি পরিশোধ করে শ্রমিকরা কতটা লাভবান হতে পারবে সে সংশয় রয়েই যাচ্ছে।
উল্লেখ্য ২০১১ সালে তদ্রুপ ওয়ার্ক পারমিটের ঘোষনা দিয়ে বেকাদায় পড়েছিল সরকার। তাই ৬পি প্রোগ্রামে একাধিকবার দিন তারিখ পরিবর্তন করতে হয়েছে। কোন সুস্পষ্ট পরিকল্পনা ছাড়াই শুরু হয়েছিল ৬পি কার্যক্রম। যার ফলে বহু শ্রমিক কিছু বুঝতে না পেরে দালালের কাছে গিয়ে প্রতারিত হয়েছে। মালয়েশিয়ায় বহুবছর আগে থেকেই বিদেশী শ্রমিক প্রসঙ্গে বার বার সরকারের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়েছে। এবারও এমনকিছু হবে তা সুস্পষ্টভাবেই ধারনা করা হচ্ছে।