বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জ বন্দরে শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে এক শিক্ষিকাকে এমপিওভুক্ত করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ঘুষ গ্রহণের মামলাটি বিচারের জন্য বিচারিক আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত ‘গ’ অঞ্চলের বিচারক আফতাব উদ্দিন শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
শ্যামল কান্তি ভক্তের আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন জানান, ওই মামলায় শ্যামল কান্তি ভক্ত আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। আদালত মামলাটি বিচারের জন্য বিচারিক আদালতে প্রেরণ করেছে।
আদালতে হাজিরা শেষে শ্যামল কান্তি ভক্ত অভিযোগ করেন, আমি এখন আতঙ্কে আছি। আমাকে পূর্বপরিকল্পিত স্কুল থেকে তাড়ানোর জন্য এই মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এমপি সেলিম ওসমানের মামলাটি যাতে আমি না করি এবং উঠাইয়া নিয়া যাই-এই কারণে আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমি একজন শিক্ষক, আমি রাজনীতি করি নাই, সেলিম ওসমান আমাকে হয়রানির করার জন্য ওই মিথ্যা মামলা দিয়েছি। মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার কল্যাণদীতে পিয়ার সাত্তার লফিত উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অবমাননার কটুক্তির অভিযোগ এনে স্থানীয় এমপি সেলিম ওসমানের নির্দেশে শাররীকভাবে নির্যাতন, কান ধরে ওঠ বস করানোর ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ পেলে সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। আর গত বছরের ১৭ জুলাই ওই স্কুলের শিক্ষিকা মোর্শেদা বাদী হয়ে এমপিওভুক্ত করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় পুলিশ তদন্ত শেষে গত ২৪ মে অভিযোগপত্র দাখিল করলে আদালত শ্যামল কান্তির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। ওই দিন বিকেলে আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তা না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন। গত ৩১ মে জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালত আগামী ২০ জুলাই পর্যন্ত শ্যামল কান্তি ভক্তের অন্তরবর্তিকালীন জামিন মঞ্জুর করেন।