বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
প্রধানমন্ত্রীর কার্যক্রম কাভারেজের জন্য এক সেট (একটি ডিজিটাল ক্যামেরা আর সেই ক্যামেরার কিছু যন্ত্রপাতি) ক্যামেরা আনতে জার্মানি যাচ্ছেন তথ্য মন্ত্রণালয় ও চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের পদস্থ তিন কর্মকর্তা। ক্যামেরা বিষয়ক এক্সপার্ট না হয়েও অতি ভাগ্যবান এই তিন কর্মকর্তা হলেন চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ লিয়াকত আলী খান, তথ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নূরুল ইসলাম ও অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শিপলু জামান।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব নিলুফার নাজনীন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়েছে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে আমদানীতব্য একসেট ডিজিটাল ক্যামেরা ও সরঞ্জামাদির প্রি-শিপমেন্ট ইন্সপেকশনের জন্য তারা জার্মানিতে যাচ্ছেন। চিঠির তথ্য অনুযায়ী তাদের ব্যয় ভার আয়োজক সংস্থা (যাদের কাছ থেকে ক্যামেরা নেয়া হচ্ছে) তারাই বহন করবে এবং এতে বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক সংশ্লেষ নেই।
নিলুফার নাজনীনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিবিসিকে বলেন সংশ্লিষ্ট কমিটির অনুমোদনের পর তারা শুধু ভ্রমণের আদেশ সম্পর্কিত চিঠি ইস্যু করে থাকেন।
কেন একটি ক্যামেরা আনতে তিনজন কর্মকর্তাকে জার্মানি যেতে হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর বা ডিএফপির মহাপরিচালক মোহাম্মদ লিয়াকত আলী খান বিবিসিকে বলেন সংশ্লিষ্ট কোম্পানি থেকে শিপমেন্টের আগে তাদের তাতে স্বাক্ষর করতে হবে।
তিনি বলেন, “ডিএফপি এনালগ থেকে ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করছে। তার অংশ হিসেবেই ডিজিটাল সিনেমাটোগ্রাফি আনা হচ্ছে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যক্রম কাভারেজের জন্য উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্যামেরা প্রয়োজন। যাতে হাই পাওয়ার লেন্স সহ আরও অনেক আধুনিক উপকরণ থাকবে”।
তিনি জানান ক্যামেরার মূল অংশের দাম পডছে ৩৫ হাজার ইউরো (বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৩৫ লাখ টাকা)যেটি অনুমোদন প্রক্রিয়ার সঙ্গে কর্মকর্তারা ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটের প্রতিনিধি ছিল।
এখন তারা সেটির শিপমেন্টের আগে নিশ্চিত হবে যে সঠিক জিনিস দেয়া হচ্ছে কি-না এবং ডিএফপির ডিজিটাইলেজশনে নতুন প্রকল্পের জন্যও ধারণা গ্রহণ করবেন বলে জানান তিনি। “তারা কি প্যাকেট করছে এবং ঠিকমতো দিচ্ছে কি-না সেটাও তো দেখার বিষয় আছে”।
কিন্তু একটি ক্যামেরার জন্য তিনজন কর্মকর্তার যারা ক্যামেরা বিষয়ক এক্সপার্টও নন তাদের জার্মানি সফর কতটা যৌক্তিক এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএফপি মহাপরিচালক বলেন, “বাংলাদেশে ওই ধরনের এক্সপার্ট নেই। বরং দু’বছর কাজ করে আমাদের ধারণা সম্পর্কে আমরা আত্মবিশ্বাসী”। “লাইটিং, পোস্ট এডিটিং সহ নানা বিষয়ে আমরা ধারণা নেবো এই সফরে। আগের বছর দুজনকে পাঠিযেছিলাম কিন্তু তাদের রিপোর্ট আমাকে সন্তুষ্ট করেনি। তাই ভাবলাম এবার নিজেরাই যাবো”। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্য সচিব মরতুজা আহমেদ বিবিসিকে বলেন, “বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে এ ধরনের কার্যক্রম রয়েছে মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। তারাই মূলত এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন”।
কিন্তু একটি ক্যামেরার জন্য তিনজন কর্মকর্তার জার্মানি যাওয়াটা আদৌ প্রয়োজন কি-না জানতে চাইলে তিনি ডিএফপির মহাপরিচালকের কাছ থেকে বিস্তারিত জানার পরামর্শ দেন।