বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
বিকেলে নিজের বোনকে ফোন করে বাঁচার আকুতি জানান এক গৃহবধূ। এমন আকুতির পর সোমবার রাতেই বোনের কথামতো বোনকে নিতে এসে পেয়েছেন লাশ।
করুণ ও হৃদয়বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায়। নিহত গৃহবধূর নাম সুমাইয়া আক্তার বর্ষা। ওই দিন বিকেলে নিজের ছোট বোনের কাছে কল করে বলেছিলেন, ‘আমাকে এখান থেকে নিয়ে যাও। না হলে ওরা আামাকে মেরে ফেলবে…’
যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার বর্ষাকে শারীরিক নির্যাতনের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে স্বামী মোস্তাফিজুর রহমান নয়ন। সোমবার রাত ১১টার দিকে জেলার বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের আলী সাহারদী এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের পরপরই নিহত গৃহবধূ বর্ষার স্বামী মোস্তাফিজুর রহমান নয়নকে আটক করেছে পুলিশ।
বর্ষার ছোট বোন মীম জানায়, সোমবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে বর্ষা তাকে ইমোতে ফোন করে খুব কান্নাকাটি করে। এ সময় স্বামী নয়ন প্রতিদিন মারধর করাসহ শারীরিক নির্যাতন করে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেছে বলে অভিযোগ করে বর্ষা।
এই বাড়িতে থাকলে মারধর করে মেরে ফেলবে এই ভয়ে তাকে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য বোনকে অনুরোধ করে বর্ষা।
বন্দর থানার ওসি মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, নিহত বর্ষার লাশের সুরতহাল পর্যবেক্ষণে গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে বর্ষার বাবা মনজুর ভূঁইয়া বাদী হয়ে বর্ষার স্বামী নয়নকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
সেই মামলা গ্রহণ করে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। লাশের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।