নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপিতে বইছে ঐক্যের সু’বাতাস। তৈমূর ও কালাম পন্থীরা এখন একাত্মতা ঘোষণা করেছে। আসন্ন মদনপুর ইউনিয়ন নির্বাচনে বিএনপি থেকে এবার আর দু’জন নয় চেয়ারম্যান পদে এবার ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে কালাম ও তৈমূরের যৌথ সমর্থনে মাঠে নামছে এবার বন্দর থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাজহারুল ইসলাম ভূইয়া হিরণ। যাকে সমর্থন দিয়ে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে পাশে থাকছেন কাবিলাসহ মুকুল পন্থী নেতা কর্মীরাও। এর ফলে শাসকদল আওয়ামীলীগের নৌকা’র শিবিরে দেখা দিয়েছে পরাজয়ের আতংক।
৯ মে ছিল প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার শেষ দিন। এই শেষ দিনে বিশাল কর্মী বাহিনী নিয়ে মদনপুর ইউনিয়নের বিএনপি মনোনিত প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম ভূইয়া হিরন তার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ সময় হিরনের চরম প্রতিপক্ষ হিসেবে পরিচিত বিএনপি নেতা কাবিলাও তার কর্মী বাহিনী নিয়ে হিরনের সমর্থনে উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে মনোনয়নপত্র জমাদান শেষে তারা দু’জনে মিলে উপস্থিত নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান ও থানা বিএনপির সভাপতি আতাউর রহমান মুকুলের কার্যালয়ে গিয়ে তার সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন এবং সম্মিলিত বিজয়ের স্বার্থে তাঁর সার্বিক সহযোগতা ও নেতৃত্ব কামনা করেন। এ সময় চেয়ারম্যান মুকুল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এড. এাহমুদা আক্তার, বিএনপি নেতা হাজী পেয়ার জহান সহ নেতা মুকুলের অনুসারীরা ঐক্যবদ্ধা প্রশ্নে একাতœতা প্রকাশ করেন।
প্রসঙ্গত বিগত ইউপি নির্বাচনে হিরন এবং কাবিলা বিএনপির ব্যনারে একই ইউনিয়ন থেকে দুজন দুজনের প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু বিএনপির ভোট দু’ভাগে ভাগ হওয়ায় ওই নির্বাচনে তারা দু’জনেই পরাজয় বরন করেছিলেন।
অথচ আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কাবিলা নির্বাচনে অংশ নেয়া থেকে বিরত থেকে হিরনকে স্বত:ফুর্ত সমর্থন দেয়ায়ার দৃশ্য দেখে আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী আলহাজ্ব এমএ সালাম শিবরে পরাজয়ের আতংক দেখা দিয়েছে। মনোনয়নপত্র জমাদানকালে উপজেলা প্রাঙ্গনে উপস্থিত আওয়ামী প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের এমন আশংকা প্রকাশ করতে দেখা গেছে। শুধু তাই নয়, বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে এ ঐক্য শেষ পর্যন্ত বজায় থাকলে এবং সুষ্ঠ ও ফেয়ার নির্বাচন হলে হিরন ঠেকানো মুশকিল হয়ে পড়বে বলেও অনেকে মন্তব্য করেন।