বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
বন্দর উপজেলার অন্তর্গত মদনপুর একতা সুপার মার্কেটের সামনে অবস্থিত নাজমুল হক স্টোরের বিরুদ্ধে সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ও অবৈধ ঘোষনা করা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক পলিথীন ব্যাগ অবাধে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল সরেজমিনে গিয়ে তার সত্যতা মিলেছে এবং অত্র স্টোরের মালিক নাজমুল সাদা ও সবুজ রংয়ের বিভিন্ন বাহারি পলিথীন ব্যাগ স্কেলে মেপে বিভিন্ন দোকানদার ও ক্রেতাসাধারণের কাছে বিক্রি করছে, এমন চিত্র চোঁখে পড়েছে। তাছাড়া আরও জানা গেছে যে, গোপনে অসাধূ বিভিন্ন পলিথীন উৎপাদনকারীরা মদনপুরে অবৈধ পলিথীন বিক্রেতা হিসেবে খ্যাত নাজমুলের কাছে পলিথীন বিক্রির জন্য দিয়ে যায়, আর নাজমুল উক্ত পলিথীন বিভিন্ন দোকানদার ও ক্রেতাদের কাছে বিক্রি ও সরবরাহ করে থাকে। প্রশাসনের চোঁখকে ধূলা দিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ সে মুদি দোকানের ব্যবসার সাথে অবৈধ পলিথীনের ব্যবসাও চুটিয়ে চালিয়ে রমরমা কারবার করে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করছে ও প্রশাসনের সঠিক নজরদারীর অভাবে প্রকাশ্যে নিষিদ্ধ পলিথীন বিক্রির বিষয়টি দিনের পর দিন বাড়ছে বলে মনে করেন অত্র অঞ্চলের পরিবেশ সচেতনরা।
উল্লেখ্য, পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এই পলিথিনের উৎপাদন, বিপণন, ব্যবহার নিষিদ্ধ করে ২০০২ সালে সরকার কর্তৃক আইন পাশ করা হয়। উক্ত বছরেই এক প্রজ্ঞাপনে একশ’ মাইক্রনের (পলিথিন পরিমাপের একক) উপরের পলিথিন দিয়ে সাময়িকভাবে বিস্কুট, চানাচুর জাতীয় কিছু খাদ্যদ্রব্যের মোড়ক দেয়ার অনুমোদন দেয়া হয়। এ আইনে উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের শাস্তি রাখা হয় দশ বছরের কারাদন্ড অথবা দশ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় শাস্তিরও বিধান রাখা হয়। আর পলিথীন বহন, বিতরণ, প্রদর্শনের শাস্তির মেয়াদ করা হয় দশ হাজার টাকা জরিমানা ও ছয় মাস পর্যন্ত কারাভোগ অথবা উভয় দন্ড। পরবর্তীতে ২০১০ সালে (সংশোধনী ২০১৩) ধান, চাল, গম, ভুট্টা, চিনি ও সার মোড়কীকরণে পাটজাত মোড়ক ব্যববহারের আইন করা হয়।