বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
মদনগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সিনিয়র আইনজীবি রবিন মাহমুদের বাড়ির কেয়ারটেকার আতাউর রহমান আতাবুর(৪৮)এর হত্যাকারী বাবু ওরফে বেগম বাবু(৪০)ও মনির(৩৯)কে রিমান্ডে এনেছে পুলিশ। রোববার হতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৫দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে আদালত ২দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সূত্র মতে,ফরাজীকান্দা এলাকার মৃত হফেজ ওমর মিয়ার ছেলে আতাবুর দীর্ঘ দিন ধরে মদনগঞ্জ পিএম রোড এলাকার সিনিয়র আইনজীবি রবিন মাহমুদের বাড়ির কেয়াটেকার হিসেবে দায়িত্ব পালণ করে আসছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধায় ওই এলাকার কুখ্যাত মাদক স¤্রাট বাবু ওরফে বেগম বাবু’র সঙ্গে তার পানি জমে থাকা নিয়ে তর্ক হয়। তর্কাতর্কি থেকে হাতাহাতিতে রূপ নিলে এক পর্যায়ে বাবু ক্ষিপ্ত হয়ে তার কোমড়ে লুকায়িত রামদা দিয়ে নৃশংসভাবে কোপায়। বাবুর কোপাঘাতে আতাবুর মাটিতে লুটিয়ে চিৎকার করে। আতাবুরের চিৎকারে তার বড় ভাই বাবুল দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে এলে সন্ত্রাসী বাবু সটকে পড়ে। এ সময় বাবু স্থানীয় মদনগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির সামনে গিয়ে নিজেকে কুপিয়েছে বলে পুলিশকে জানায়। ফাঁড়ি পুলিশ বাবুকে ভিকটিম ভেবে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেয়। এই সুযোগে বাবু সটকে পড়ে। অন্যদিকে আতাবুরকে ধরাধরি করে হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়। এ ব্যাপারে মদনগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ গিয়াসউদ্দিনের সঙ্গে আলাপকালে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তিনি জানান,বাবুর ঘাড়ে ও হাতে গুরুতর জখম দেখে তাকে ভিকটিম মনে করে চিকিৎসার জন্য পরামর্শ দেই কিন্তু পরক্ষণে সামনে এগুতেই আতাবুরকে মুমুর্ষ অবস্থায় দেখে বিষয়টি সন্দেহ হলে বাবুকে হন্য হয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজার পরও তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। পরে ওইদিন ভোরেই বাবুকে সুচিয়ারবন্দ এলাকা হতে এবং পরদিন দুপুরে মনিরকে মদনগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতারে সক্ষম হয় পুলিশ। এ ব্যাপারে শুক্রবার দুপুরে নিহতের বড় ভাই মোঃ সানাউল্লাহ বাদী হয়ে ধৃত খুনী বাবু,জিয়াবুর মিয়ার ছেলে মনির ও ফরাজীকান্দা এলাকার পচা মিয়ার ছেলে ভারতে হামলাকারী জঙ্গী মাসুম ওরফে সাজিদের ভাই সহ বন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার নং ৫৩(০৭)১৬ইং।