বিজয় বার্তা ২৪.কম
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, দেশকে একদলীয় দু:শাসনের চরম অন্ধকারে নিপতিত করতে বর্তমান গণবিচ্ছিন্ন ভোটারবিহীন সরকার এখন সীমা ছাড়িয়ে গেছে।
শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।
বিবৃতিতে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, চরম সীমালঙ্ঘনের কারনেই দেশে রাজনৈতিক, সামাজিক কিংবা ধর্মীয় সংগঠনগুলো উম্মুক্ত কোন স্থানেই সভা সমাবেশ করতে পারছে না। এমনকি ঘরোয়া পরিবেশেও সভা কিংবা আলাপ-আলোচনা অনুষ্ঠান করতে বাধা দেয়া হচ্ছে। পুলিশী বাধা অথবা কোন কোন ক্ষেত্রে হামলা চালিয়ে সেসব সভা ও আলোচনা নস্যাৎ করতে যে ন্যাক্কারজনক অসদাচরণ করা হচ্ছে সেটির ধিক্কার জানানোর ভাষা নেই। আ স ম আব্দুর রব এর বাসভবনে অনুষ্ঠিত রাজনৈতিক দলসমূহের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সভায় পুলিশী হস্তক্ষেপে আবারো প্রমাণিত হলো রাষ্ট্র এখন অমানবিক এবং চরম গণবিরোধী।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, দেশে গণতন্ত্র শূন্যতার কারণেই আইনের শাসন নিরুদ্দেশ হয়ে গেছে। সরকারি মদদে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এখন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ভোটারবিহীন সরকারের আনুগত্য করতে গিয়ে তারা হিতাহিত জ্ঞান শূন্য হয়ে পড়েছে। বিরোধী দল ও বিরোধী মত দমন করতে পুলিশকে লাগামহীন লাইসেন্স দেয়ার কারণেই সামাজিক অপরাধগুলো প্রশ্রয় পাচ্ছে তীব্র মাত্রায়। অনাচার বৃদ্ধির কারণেই শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষ এখন ভয়-ভীতি-শঙ্কার মধ্যে দিনাতিপাত করছে। অশুভ উদ্দেশেই দেশের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ আ স ম আব্দুর রব এর বাসায় পুলিশ প্রবেশ করেছে। এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে-রাষ্ট্র ও সমাজের মধ্যে একটা ভয়াবহ আতঙ্ক সৃষ্টি করা যাতে কেউ সরকারের বিরুদ্ধে টু শব্দ করতে না পারে।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, বর্তমান স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে জনগণ এখন আরো বেশী সংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ। সময় অতি সন্নিকটে যখন জনগণের সম্মিলিত গণরোষে এই নিপীড়ক সরকারের মূলোৎপাটন ঘটবে। আমি সরকারের প্রতি আহবান জানাই-গণবিরোধী জুলুমের পথ থেকে অবিলম্বে সরে আসুন, অন্যথায় যুগে যুগে সকল স্বৈরাচারের মতোই আপনাদের পরিণতি বরণ করতে হবে।