স্টাফ রিপোর্টার,বিজয় বার্তা ২৪
ভূমধ্যসাগরে লিবিয়া ও গ্রিসের বৃহত্তম দ্বীপ ক্রিটের উপকূলে দুটি ডুবন্ত নৌযান থেকে ১০৪ মৃতদেহসহ ৩৪২ অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার স্থানীয় সময় সকালে ইতালি ও গ্রিসের কোস্টগার্ড মৃতদেহ এবং জীবিতদের উদ্ধার করে।
গ্রিসের কোস্টগার্ডের বরাতে রয়টার্স জানায়, দুটি বড় মাছ ধরার নৌকায় করে কমপক্ষে ৯০০ অভিবাসীকে বহন করা হচ্ছিল। কিন্তু ক্রিটের উপকূলে ঝড়ো হাওয়ায় দুটি নৌযান ডুবে যায়। ডোবার সময় নৌকা দুটির অবস্থান ছিল গ্রিসের উপকূল থেকে ৭৫ মাইল দক্ষিণে।
এদিকে বিবিসি জানিয়েছে আজ সকালে পাঁচটি বাণিজ্যিক জাহাজ, দুটি কোস্টগার্ড এবং গ্রিস বিমানবাহিনীর একটি বিমান এই ‘বিপুল সংখ্যক’ অভিবাসীকে উদ্ধারে সাহায্য করে।
এর আগে গত সপ্তাহে ভূমধ্যসাগরে দুদিনে সাত শতাধিক শরণার্থীর প্রাণহানি হয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। সংস্থাটির বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, তিনটি নৌযান উল্টে বিপুল প্রাণহানি ঘটেছে।
ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র কার্লোটা সামি বলেন, শরণার্থী নিয়ে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান সংকটের মধ্যে এক সপ্তাহে এটিই সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি।
এদিকে ফ্রান্সভিত্তিক আন্তর্জাতিক দাতব্য চিকিৎসা সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) বলছে, গত সপ্তাহে জাহাজডুবির ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৯০০ ছাড়িয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, গত বুধবার স্থানীয় সময় সকালে লিবিয়া থেকে ইউরোপে ঢোকার পথে পাচারকারীদের একটি কাঠের নৌকা ডুবে যাওয়ার ঘটনায় এখন পর্যন্ত একশর বেশি শরণার্থী নিখোঁজ রয়েছে। এরপর গত বৃহস্পতিবার সকালে ৬৭০ শরণার্থী নিয়ে একটি কাঠের বড় নৌকা ডুবে যায়। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে সাড়ে ৫০০ জনেরও বেশি।
এরপরে তৃতীয় নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে গত শুক্রবার রাতে। এ ঘটনায় ১৩৫ অভিবাসনপ্রত্যাশী বেঁচে গেলেও ৪৫ জনের মরদেহ ইতালি এবং স্পেনের জলসীমা থেকে উদ্ধার করা হয়।
গত সপ্তাহে উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের ইতালির দুটি বন্দর টারান্টো ও পোজ্জাল্লোতে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ভূমধ্যসাগরে নৌকা বা জাহাজ থেকে উদ্ধার হয়েছে, এমন মানুষের সংখ্যা ১৩ হাজারে পৌঁছেছে।
ইউএনএইচসিআর শঙ্কা প্রকাশ করে বলেছে, তিনটি নৌকাডুবির ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ৭০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে। তবে শরণার্থীদের দাবি, এখনো নিখোঁজ রয়েছে এক হাজারের বেশি মানুষ।