নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
ছবি- ঝর্না ও তার বাবার মৃত্য দেহ
প্রেমে বাধা দেয়ায় বাড়িতে হামলা করে প্রেমিকার বাবাকে ছুরিকাঘাতে খুন করেছে প্রেমিক তুহিন ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা।
মঙ্গলবার রাত তিনটার দিকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার ভূঁইগড় রঘুনাথপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত অভিযোগে পুলিশ দুইটি সাইক্রোবাস, হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রক্তমাথা ছুরিসহ সাতজনকে গ্রেফতার করেছে।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোখলেছুর রহমান ঘটনার বিবরনে জানান, স্থানীয় হাজী পান্দে আলী উচ্চ স্কুলের নবম শ্রেনীর ছাত্রী সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবারের মেয়ে (ঝর্ণা) এর সাথে গত ছয় মাস যাবত প্রেমের সম্পর্ক ছিল রাজধানীর শ্যামপুর এলাকার একটি সাউন্ড সিস্টেম দোকানের কর্মচারী মুসলিম পরিবারের সন্তান তুহিন নামের এক যুবকের। কিন্তু ধর্মীয় কারণে ঝর্ণার বাবা মনীন্দ্র কুমার অধিকারী প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নিয়ে ওই ছেলের সাথে সম্পর্ক না রাখার জন্য মেয়েকে নানভাবে বোঝান। যার কারণে গত দুই মাস ধরে ঝর্ণা তুহিনের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়ে তাকে এড়িয়ে চলে। এর কারণে তুহিন ক্ষুব্ধ হয়ে ঝর্ণাকে হুমকি দেয় যে, তার সাথে সম্পর্ক না রাখলে তার বাবাকে খুন করা হবে। মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে তুহিন দুইটি মাইক্রেবাসে করে আট দশজন সন্ত্রাসী নিয়ে এসে ঝর্ণাদের বাড়িতে হামলা করে। ঘরে ঢুকেই তারা ঝর্ণার বাবা মনীন্দ্র কুমারকে চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপালে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় ঝর্ণা নিজেই দুই সন্ত্রাসীকে আটক করে ফেলে। পরে তুহিন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। তার সহযোগীরা মাইক্রোবাসে উঠে পালানোর সময় চেকপোস্টে পুলিশের হাতে ধরা পরে। পুলিশ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা চাপাতি, দুইট মাইক্রোবাসসহ সাতজনকে আটক করে। তবে মূল পরিকল্পনাকারী তুহিন পালিয়ে যায়। পুলিশ তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে। সন্ত্রাসীরা খুন করার পরিকল্পনা নিয়েই এই বাড়িতে হামলা চালিয়েছে।
ঝর্ণা প্রেমের ঘটনার বিষয়টি স্বীকার করে জানায়, বাবার আদেশে অনুযায়ী তুহিনের সাথে সম্পর্ক না রাখায় পরিকল্পিতভাবে তার সামনে তার বাবাকে খুন করা হয়েছে।
পুলিশ লাশের সুরতহাল করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।