বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
গত তিনদিনের আষাঢ়ের বৃষ্টিতে ডিএনডি বাঁেধর ভেতরে কুতুবপুর দেলপাড়ার, রসূলপুর,পাগলা,নন্দলালপুর,ভূইগড়,মাহমুদপুর,জালকুড়ি,ধর্মগঞ্জ,আলীগঞ্জ,লালখাঁ,রামারবাগ, পিলকুনি, দাপা ইদ্রাকপুর,তক্কারমাঠ,নবীনগর,নরসিংপুর,কাশপিুর, চিতাশাল পাগলা বউ বাজার, শাহী মহল্লা, লালপুর,ফতুল্লা চৌধুরী , পৌষার পুকুর পাড় এলাকায় এখন পানিবন্দিতে মানবেতর জীবন যাপন করছে এলাকাবাসী । ফতুল্লার চৌধুরী বাড়ির ও লালপুর ,পৌষার পুকুর পাড়,আল আমিনবাগ, সস্তাপুর, ওয়াবদার পুল, কাইয়ুমপুরসহ এলাকার রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে আছ্ েএ যেন কৃতিম বন্যা সৃষ্টি হয়ে। এ যেন দেখার কেউ নাই। জনপ্রতিনিধিরা পানিবন্দি মানুষের কষ্টের কান্না শুনতে পায়না। এমনকি সরকারের দায়িত্বরত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও তাদের দাযিত্ব এড়িয়ে চলছেন এমন দাবী এখন ফতুল্লার ডিএনডি বাসী ও সচেতন মহলের ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,দেলপাড়া, মাহমুদপুর ,ভূইগড়, আর্দশপাড়া, পাগলা শাহী মহল্লা , চিতাশাল, নন্দলালপুর,পাগলা পূর্বপাড়া, কাশীপুর,নরসিংপুর,নবীনগর,রাস্তাঘাট বাসা বাড়িতে পানি আর পানি । উল্লেখিত এলাকার মানুষ এখন মানবেতরভাবে জীবন যাপন করছ্ েঅনেকে ঘরের খাটে বসে রান্না বান্না এবং খাওয়া দাওয়া চলছে। কুতুবপুরের সকল পয়েন্টের রাস্তাঘাট এখন পানিতে এবং কাদায় ভরপুর। মানুষের চলা চলের দারুন সমস্যা হচ্ছে। এই এলাকার মানুষের পচাঁ পানিতে চলাচল করেন অনেকেরই সংক্রামক রোগে আক্রন্ত হয়েছ্ েপাগলার মাছ ব্যবসায়ী সমির হোসেন ও বিএনপি নেতা বাবুল মিয়া জানান, ডিএনডির জলবদ্ধতার কারেন আমাদের এলাকার পানিতে তলিয়ে গেছ্ েযদি এভাবে তিনদিন একটানা বৃষ্টি হয় তাহলে ৯৮ ও ২০০৪সালের মতো বন্যার রূপ আবার দেখতে পাবে ফতুল্লা বাসী দেখতে পাবেন।
মাহমুদপুর এলাকার আকবর হোসেন, ভূইগড়ের কারেন্ট মিস্ত্রিী জালাল মিয়া, মুদি ব্যবসায়ী মাহবুব হোসেন জানান, আমাদের দেশে রাজনীতিবিদরা যে যার আখের গোছাতে ব্যস্ত। জনগনের সেবা করবেন নির্বাচন আসলে তখন অনেক প্রতিশ্রুতি দিবেন। আমাদের এলাকার জলাবদ্ধার সমস্যা সেই অনেক বছর আগে থেকে এ যাবৎ অনেক সরকার আসছে আর গেছে কিন্তু সমস্যা সমাধানে কেহই নেই,শুধু আশ্বাস দিয়েই যে যার সময় পাড় করে যাচ্ছেন। এরশাদ সরকারের আমলে এর চেয়ে ভালো পেয়েছ্।ি তিনি নদীর পাড়ে জলাবদ্ধতা দূর করনে এবং ডিএনডি বাঁধ সংস্কার করে আমাদের একটু শান্তি দিয়েছিলেন। তখন চাউল ৮/১০ টাকায় খেয়েছি। কিন্তু খালেদা জিয়ার আর হাসিনা সরকারের আমলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রন করতে পারেনি এখনও ৬০টাকা কেজি চাউল খাই। সত্য কথা বললে অনেকের শত্রু হতে হয়। আমরা যারা মধ্যবৃত্ত পরিবার তারা আছি মহা বিপদে । আর যারা রাজনীতি করেন তারা আছেন সবার উর্ধ্বে। সবাই সবইকে ছাড় দিয়ে চলেন, দেখছি আওয়ামীলীগের আমলে বিএনপি যারা করেন তারা ভালোই চলছে। আবার বি এন পি এলে তারা আওয়ামীলীগ নেতাদের ছাড় দিবেন ফলে তারা সর্ব সময়ই ভালো থাকবেন এবং থাকছেন।
ফতুল্লার লালপুর হতে পৌষার পুকুর পাড় মানিক ডাক্তারের ফার্মেসী পর্যন্ত এবং সেখান থেকে পৌষার পুকুর পাড় জামে মসজীদ পর্যন্ত রাস্তায় হাটু পানিতে ডুবে আছে। মানুষের চলাচলের ভীষন সমস্যা হচ্ছে । স্কুল ,কলেজ মাদ্রসার ছাত্র-ছাত্রী এবং গামেন্টর্স কর্মীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। রিক্সা ভ্যান ঠিক মতো পাওয়া যাচ্ছেনা। যদিও দুই একটি পাওয়া যায়, তাও আবার দ্বিগুন ভাড়া দিতে হয়্ তা নাহলে কোন রিক্সা পৌষার পুকুর পাড় এলাকায় যায়না। আল আমীন বাগ, পাইনিয়র গেইট, বাংলাদেশ মাঠ, পাকিস্তানী খাদ তাগাড়ের পানিতে রাস্তাঘাট ডুবে আছ্ েমানুষের চলা চল অযোগ্য হয়ে পড়েছে। অনেকের বাসায় পানিতে ডুবে আছে। অনেকের গ্যাসের চুলা পর্যন্ত পানিতে ডুবে আছে। আবার অনেক বাড়ির খাটের নিচে সাপ ডুবে আছে। পানি বন্দি পরিবারের আকুতি অতি তাড়াতাড়ি পানি নিস্কাষনের ব্যবস্থা না নিলে বিভিন্ন রোগ জীবানুতে আক্রন্ত হবে তারা। তাগাড়ের পানি আর বৃষ্টির পানি এক হয়েগেছে। পচাঁ পানির দূৃর্গন্ধে তাগাড় পানিবন্দি মানুষের বসবাস কষ্ট হয়ে পড়েছ্ েতাদের দাবী পাম্প হোক আর জলবদ্ধতা নিরাশনের বিকল্প ব্যবস্থা নিয়ে ,মানুষগুলোকে জলবদ্ধতা থেকে মুক্ত করা হোক। এ ব্যাপারের নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সাংসদ সদস্য আলহাজ¦ একেএম শামীম ওসমানের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন পানিবন্দি ডিএনডিবাসীর জনগন।