নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
বন্দরে ড্রেজারের সাহায্যে শীতলক্ষ্যা নদীর তীর কেটে বৈদ্যুতিক টাওয়ার ঝুঁকিপূর্ণতার বিষয়টি নিয়ে অবশেষে জটিলতার অবসান ঘটেছে। সম্প্রতি মদনগঞ্জ শান্তিনগর চরের অদূরবর্তী স্থানে স্থাপত্য ৩৩ হাজার ভোল্টেজের বৈদ্যুতিক টাওয়ারের আশ পাশে ড্রেজারের সাহায্যে মাটি কেটে সাবাড় করার চাঞ্চল্যকর খবর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লেও প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর হতে তদন্তের মাধ্যমে এর প্রকৃত রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। মূলতঃ ৬ বছর পূর্বে তৎসময় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের অধীনে জনৈক চান মিয়াকে মদনগঞ্জ শান্তিনগর সংলগ্ন নদীর তীরে ড্রেজিং করার অনুমোদন প্রদান করে। সে সময় নদীর তীরের সরকারি বৈদ্যুতিক টাওয়ারের চারিপাশে ঝুঁকিপূর্ণতা দেখা দিলে স্থানীয় শান্তিনগরবাসী ও ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফয়সাল মোহাম্মদ সাগরের তোপের মুখে চান মিয়ার ড্রেজিং কার্যক্রম ভেস্তে যায়। নিয়মের নিমিত্তে বসুন্ধরা সিমেন্ট কোম্পানী বিআইডব্লিউটিএ’র নির্দেশণা অনুযায়ী তাদের জেটির আশ পাশে জমে থাকা বালু ও মাটি অন্যত্র অপসারণ করে থাকে। যা কিনা নদী হতে ৪শ’ ফুট দূরে। এ ঘটনাকে পূঁজি করে মদনগঞ্জের একটি দুর্ধর্ষ চক্র বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আর্থিক ফায়দা লুটার হীনচেষ্টায় নানা অপতৎপরতা লিপ্ত রয়েছে। এ ব্যাপারে বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট প্রমানাদির ভিত্তিতে মামলার প্রস্তুতি গ্রহণ করছে বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে। অন্যদিকে বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক একেএম আরিফের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান,শীতলক্ষ্যার মদনগঞ্জ তীরের আশ পাশে ড্রেজিংয়ের কোন অনুমোদন দেয়া হয়নি। ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে বালু কেটে বৈদ্যুতিক টাওয়ার ঝুঁকিপূর্ণতার কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি।