নারায়নগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
বন্দরে তথ্য গোপন রেখে ফের বিয়ে করার সময় রনি চন্দ্র দেব(২৫) নামে একাধিক বিয়ের বরকে আটক করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বিয়ের আসর থেকে প্রতারক রনিকে আটক করা হয়। তথ্য সূত্রে জানা যায়,সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন চৌধূরীবাড়ী লক্ষী নারায়ণ কটন মিলস সংলগ্ন এলাকার মৃত শংকার চন্দ্র দেবের ছেলে রনি চন্দ্র দেব বিগত সময়ে আরো দু’টি বিয়ে করে। ২ বিয়ের তথ্য গোপন রেখে বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে বন্দর র্যালি আবাসিক এলাকার আব্দুল আউয়াল মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া নারায়ণ চন্দ্র দাসের মেয়ে(১৮)কে বিয়ে করার সময় মেয়ের পক্ষের এক আতœীয় বরকে চিনে ফেলে। বিষয়টি এক পর্যায়ে জানা জানি হলে খবর পেয়ে বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক বিপুল চন্দ্র দাস সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বিয়ের আসর হতে প্রতারক রািন চন্দ্র দেবকে আটক করতে সক্ষম হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা চলছে।
শাসনেরবাগে দিনমজুরের সম্পত্তির উপর নূরু-আক্তার গংয়ের ইটভাটা নির্মাণ ॥ এমপি’র হস্তক্ষেপ কামনা
স্টাফ রিপোর্টার: বন্দরের শাসনেরবাগ এলাকায় নিরীহ দিনমজুর নূর মোহাম্মদ ও তার বোনদের পৈত্রিক সম্পত্তির উপর জোরপূর্বক ইটভাটা নির্মাণ করছে স্থানীয় প্রভাবশালী নূরু ও আক্তার গং। স্থানীয় ইউপি সদস্য মঞ্জু মেম্বারের এবং কথিত জাতীয় পার্টির নেতা সেলিম ও আবুলের শেল্টারে দীর্ঘ দিন ধরে তারা অসহায় নূর মোহাম্মদ গংয়ের ১৯ শতাংশ ওয়ারিশের সম্পত্তির মাটি কেটে ইটভাটায় ব্যবহার করে আসছে। বিষয়টি একাধিকবার স্থানীয় সাহাবুদ্দিন মেম্বার সমঝোতার চেষ্টা করলেও নূরু-আক্তার গংয়ের দাপটের কাছে সবাই যেন অসহায় হয়ে পড়ে। সরেজমিনে পরিদর্শণে গেলে নিরীহ নূর মোহাম্মদ ও তার বোনেরা জানায়,মুসাপুরের আউয়াল সর্দারের ছেলে নূরু মিয়া ও আক্তার গং প্রায় কয়েক মাস যাবত তাদের পৈত্রিক ১৯ শতাংশ সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করে নিয়ে সেখানকার মাটি কেটে তাদের ইটভাটায় ব্যবহার করে আসছে। তাতে বাধা দিলে তারা আমাদেরকে স্ব-পরিবারে ইটভাটায় পুড়িয়ে মারার হুমকি দেয়। তারা জানায়,এই সম্পত্তি আমাদের জেঠা আমিজউদ্দিনের কাছ থেকে কিনে নিয়েছে। কিন্তু আমার বাবার সম্পত্তিতো আর বিক্রি করি নাই একথা বললে তারা ভয়ভীতি প্রদর্শণ করে এমনকি তারা এও বলে এ নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে পরিণাম ভয়াবহ হবে। এ ব্যাপারে ইটভাটার মালিক আক্তার হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে আলাপকালে তিনি জানান,জমিটি অনেক বছর আগে মসজিদের নামে ওয়াকফা দিয়েছেন আমিজউদ্দিন। মসজিদ কমিটির সুবিধার্থে ওই জমিটি আমরা নিয়ে নেই এবং মসজিদের জন্য একটি ভাল জায়গা কিনে দেই। এখানে জোর করে জমি নেয়ার কোন মানে হয়না। ৩৮ শতাংশ সম্পত্তির মালিকতো আর আমিজউদ্দিন একা না আমিজউদ্দিন যদি ওয়াকফা দিয়ে থাকে তাহলে তার অর্ধেক ১৯ শতাংশ জমি ওয়াকফা দিতে পারে বাকী জমিতো তার ভাই সলিমুল্লাহ মিয়ার মানে নূর মোহাম্মদ ও তার বোনদের সুতরাং তাদের সম্পত্তি কেন বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছেনা এ বিষয়ে প্রতিবেদক জানতে চাইলে আক্তার জানায়,এ নিয়ে এলাকায় একাধিকবার দেন-দরবার হয়েছে কিন্তু নূর মোহাম্মদ আকাশ চুম্বী মূল্য দাবি করে। তাদের দাবি অনুযায়ীতো আর জমির মূল্য দিয়া যাবেনা। তাছাড়া বিষয়টি মুসাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অবগত। এ দিকে পৈত্রিক সম্পত্তি বেদখল হওয়ায় নিরীহ নূর মোহাম্মদ ও তার বোনের পরিবারগুলো খুবই মানবেতর জীবন যাপন করছে। ভুক্তভোগীরা ভূমি দখলকারী নূরু-আক্তার গংয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আশু ব্যবস্থা গ্রহণসহ তাদের পৈত্রিক ভিটা ফিরে পেতে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা একেএম সেলিম ওসমানের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।