আন্তর্জাতিকডেস্ক,বিজয় বার্তা ২৪
আগামী এক বছরে উত্তর এবং দক্ষিণ যুক্তরাষ্ট্রের দেশগুলোতে জিকা ভাইরাসে ৩০ থেকে ৪০ লাখ পর্যন্ত মানুষ আক্রান্ত হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর আগে বিস্ফোরকের মতো ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সতর্কতা জারি করে সংস্থাটি।
এদিকে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি জানিয়েছে, অগাস্টে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিতব্য অলিম্পিক গেমসের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে সব রকম চেষ্টাই করবে সংস্থাটি।
বলা হচ্ছে, জিকা ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত হলে তার কোনো চিকিৎসা নেই, প্রতিষেধকও নেই।
অথচ উত্তর ও দক্ষিণ যুক্তরাষ্ট্রে ২০টিরও বেশি দেশে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়েেেছ এই রোগ।
এমন প্রেক্ষাপটে করণীয় ঠিক করতে সোমবার জেনেভায় জরুরি বৈঠক ডেকেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান মার্গারেট চ্যান।
মার্গারেট চ্যান বলেছেন, বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং প্রচন্ড অনিশ্চয়তাও রয়েছে এনিয়ে। আমাদের খুব দ্রুত কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে হবে।
সোমবারের বৈঠকে আমি চাইবো আক্রান্ত হলে মানুষ কি করবে এবং যেসব জায়গায় এ রোগের সংক্রমণ হবে সেসব জায়গায় সহায়তা পাঠানোর সুপারিশ ঐ কমিটি জরুরি ভিত্তিতে করবে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, মশা-বাহিত জিকা ভাইরাস দ্বারা গর্ভবতী মায়েরা আক্রান্ত হলে শিশু বিকৃত মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মাতে পারে। কিন্তু তার কোনো উপসর্গ আগে থেকে দেখা যাবে না।
ফলে গত কয়েকদিন ধরেই বিশ্বজুড়ে এক আতঙ্কের নামে পরিণত হয়েছে জিকা ভাইরাস।
কিন্তু গবেষকেরা বলছেন, ব্যবহারের উপযোগী একটি প্রতিষেধক তৈরি করে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ১০ বছরেরও বেশি সময় লাগতে পারে।
যদিও যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এ বছরের শেষ নাগাদ তারা মানুষের ওপর পরীক্ষা চালানোর জন্য একটি প্রতিষেধক প্রস্তুত করতে পারবে।
জিকা ভাইরাসের বিস্তার ও তা ঠেকানোর উপায় নিয়ে ঠিক এই মুহূর্তে কিভাবে দক্ষিণ যুক্তরাষ্ট্রের দেশগুলোর স্বাস্থ্যমন্ত্রীরা একটি বৈঠক করছেন।