বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
চাল, আটা, তেলসহ নিত্যপণ্য, জ¦ালানি তেল, সিলিন্ডার গ্যাস, ইউরিয়া সারের দাম ও গণপরিবহনের ভাড়া কমানো এবং শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষের রেশনের দাবিতে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে আজ বিকাল ৪ টায় শহরের ২নং রেলগেইটে সমাবেশের মাধ্যমে শুরু হয়ে চাষাডা হয়ে কালীরবাজার চেম্বার রোড, ডিআইটি ঘুরে আলী আহম্মদ চুনকা নগর পাঠাগারের সামনে পদযাত্রা শেষ হয়। এসময় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে, কালীর বাজার, চুনকা পাঠাগারের সামনে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। পথসভাগুলোতে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সদস্যসচিব আবু নাঈম খান বিপ্লবের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদ, সোনারগাঁ উপজেলার সমন্বয়ক বেলায়েত হোসেন, ফতুল্লা থানার আহŸায়ক এম এ মিল্টন, সদস্যসচিব এস এম কাদির, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট জেলার সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শরীফ প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, নিত্যপণ্যের অব্যাহত দাম বৃদ্ধিতে মানুষ দিশেহারা। সরকার গত ৫ আগস্ট গণশুনানী না করে আইন লঙ্ঘন করে জ¦ালানি তেলের দাম ৫১% পর্যন্ত বাড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে এ দাম বাড়িয়েছে। অথচ দাম বৃদ্ধির সময় আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম অনেক কম ছিল। জ¦ালানি তেলের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা নিত্যপণ্যের দাম আরও কয়েকগুণ বাড়িয়েছে এবং গণপরিবহনের ভাড়াও মাত্রাতিরিক্ত বেড়েছে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ৫১% পর্যন্ত দাম বাড়লেও সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমার কথা বলে জ¦ালানি তেলের দাম নামমাত্র ৩.৭% কমিয়েছে। যার প্রভাব নিত্যপণ্যে ও পরিবহনে পড়েনি। দাম বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষ তাদের খাবার কমিয়ে দিয়েছে। অথচ মন্ত্রীরা বলছেন বেহেস্তে আছি, কেউ বলছেন জনগণ সুখে আছে, কারণ তারা কাপড়বিহীন নেই। এভাবে সরকার ও তার মন্ত্রীরা জনগণের সাথে তামাশা করছে। তেলের দাম কম থাকলে পাশের দেশে পাচার হয়ে যাবে, এটিও সঠিক নয়। তাহলে প্রশ্ন আসে আমাদের বিজিবি কী করে? বিজিবি প্রধান ইতিমধ্যে পাচারের কোন সম্ভাবনা নেই বলেছেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার বলছে ৮ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি পূরণ করতে তারা তেলের দাম বাড়িয়েছে। কিন্তু গত ৭ বছরে যখন বিশ^বাজারে দাম কম ছিল তখন বিপিসি ৪৮ হাজার কোটি টাকা লাভ করেছিল। সরকার ইউরিয়া সারের দাম কেজি প্রতি ৬ টাকা বাড়িয়েছে। এতে সার, ডিজেলের দাম বৃদ্ধির ফলে কৃষিতে বিঘা প্রতি ১২ শত টাকা খরচ বাড়বে কৃষকের। বাড়তি টাকার জোগান না দিতে পারায় উৎপাদন কমে যাবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সারের দাম, তেলের দাম, পানির দাম বাড়ার সাথে সাথে এখন আবার গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ার তৎপরতা শুরু করেছে। বর্তমান সরকার ভোট ডাকাতির সরকার, ফলে জনগণের প্রতি তাদের কোন দায় নেই। দুর্নীতি-লুটপাট-দলীয়করণ চলছে সর্বত্র। উন্নয়নের ঢাক-ঢোল পিটিয়ে জনগণের উপর দূর্ভোগ চাপিয়ে দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। নেতৃবৃন্দ বর্তমান সরকারের দুর্নীতি-দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ও জ¦ালানি তেলের, ইউরিয়া সার ও নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবিতে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সর্বস্তরের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহŸান জানান।