আন্তর্জাতিকডেস্ক,বিজয় বার্তা ২৪
দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভের মুখে পড়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নির্ধারিত নির্বাচনী প্রচারণা থেকে বিরত রইলেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প বিরোধী বিক্ষোভের কারণে তার গাড়িবহর পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে। তারপর একটি হোটেলে প্রবেশ করেন তিনি। কিন্তু সেখানেও বিক্ষোভের মুখে পড়েন ট্রাম্প।
ফলে হোটেলটির যে গেট দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করেন তিনি, সেটি ব্যবহার করা হয় না বললেই চলে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। তারা ডিম ছুড়ে মারে।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন লড়াইয়ে ফ্রন্টরানার ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার দলের মনোনয়ন পেতে হলে প্রাইমারি ও ককাস নির্বাচনে কমপক্ষে ১২৩৭টি ডেলিগেট পেতে হবে। এখন পর্যন্ত তিনি ফ্রন্টরানার হিসেবে পেয়েছেন ৯৯৭টি ডেলিগেট। ফলে মনোনয়নের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন তিনি।
মুসলিম বিদ্বেষী, বহুল বিতর্কিত এ নেতার বিরুদ্ধে এরই মধ্যে রিপাবলিকান দলের অনেক ভারি ভারি নেতা অবস্থান নিয়েছেন। তারা বলছেন, তাকে মনোনয়ন দেয়া হলে যুক্তরাষ্ট্রের গ্রান্ড ওল্ড পার্টি হিসেবে পরিচিত রিপাবলিকান দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে যুক্তরাষ্ট্র। তাকে থামানোর জন্য শেষ দিকে এসে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন দলীয় অপর দুই প্রার্থী টেড ক্রুজ ও জন কাসিচ। ট্রাম্প যেন ১২৩৭টি ডেলিগেট সংগ্রহে সক্ষম না হন সে জন্য তারা একে অন্যকে সহযোগিতা করছেন।
দলের স্থানীয় পর্যায়ের নেতারাও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। তারা এরই মধ্যে আরিজোনা সহ কয়েকটি স্থানে বিক্ষোভ করে বিঘœ সৃষ্টি করেন ট্রাম্পের প্রচারণায়। তবে বৃহস্পতিবার ক্যালিফোর্নিয়ায় তীব্র বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। শুক্রবার আবার একই ঘটনা ঘটে। বাধ্য হয়ে ফিরে গিয়ে হোটেলে আশ্রয় নেন তিনি। সেখানেই তিনি বক্তব্য রাখেন। এ ঘটনা ঘটে সান ফ্রান্সিসকোর বারলিংগেমে।
তিনি বলেন, এই হোটেলে প্রবেশটা অতো সহজ ছিল না। মনে হয়েছে আমি যেন সীমান্ত পাড়ি দিচ্ছি। এ সময় বিক্ষোভকারীদের অনেকের হাতেই ছিল মেক্সিকোর জাতীয় পতাকা। তারা হোটেলের নিরাপত্তা রক্ষীদের ওপর চড়াও হয়। ফলে পুলিশ লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয়। ক্যালিফোর্নিয়ায় কোস্টা মেসায় তার নির্বাচনী র্যালির বাইরে সৃষ্টি হয় বিশৃংখল পরিস্থিতি। সেখানে ট্রাম্প বিরোধীরা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। সড়ক বন্ধ করে দেয়। সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২০ জনকে।
অবৈধ অভিবাসী ইস্যুসহ অনেকগুলো স্পর্শকাতর ইস্যুতে বিতর্কিত মন্তব্য করে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন ট্রাম্প। তাই তিনি নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর পর পরই বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভের মুখে পড়েন। গত মাসে তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে শিকাগোতে। সে বিক্ষোভের কারণেও তিনি প্রচারণা থেকে ফিরে যেতে বাধ্য হন।
উল্লেখ্য, মেক্সিকোর তীব্র সমালোচক ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে মাদকের ডিলার ও ধর্ষকদের পাঠাচ্ছে মেক্সিকো। একই সঙ্গে তিনি মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে ব্যয় বহন করতে হবে মেক্সিকোকেই।