বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুর রহিম মেম্বারের সমর্থক জামাই ফরহাদ অপর সম্ভব্য প্রার্থী বিএনপি নেতা হাজী সিরাজুল ইসলামর ও তার সমর্থকরা মারধোর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত জামাই ফরহাদ স্থানীয় সুগন্ধা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনাটি ঘটে সোমবার বিকেলে বিএনপি নেতা সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থী হাজি সিরাজুলের বাড়িতে।
জানা যায়, সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টায় জামাই ফরহাদ সিদ্ধিরগঞ্জ পুলস্থ মজিব মার্কেট সংলগ্ন চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন। হঠাৎ হোন্ডা যোগে সম্ভব্য কাউন্সিলর প্রার্থী হাজী সিরাজুল ইসলামের ছেলে উজ্জল তার সাথে জরুরী কথা আছে বলে হোন্ডায় করে তার বাড়ীতে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে তার পিতা হাজী সিরাজুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজনের সামনে জামাই ফরহাদকে রহিম মেম্বারের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারনা থেকে বিরত থাকার কথা বলে। কথা বলার এক পর্যায়ে সিরাজুল ইসলামের ছেলে ফরহাদকে অকথ্য ভাষায় গালাগালিসহ প্রাণ নাশের হুমকী দেয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফরহাদ বলেন, আমি সিদ্ধিরগঞ্জপুলে মুজিব মার্কেটে চায়ের দোকানে বসে কয়েকজনের সাথে চা খাচ্ছিলাম। এমন সময় উজ্জল এসে আমাকে ডেকে নিয়ে যায়। তাদের বাসায় আমাকে তার পক্ষে নির্বাচনের প্রচারনায় কাজ করার জন্য বলে। আমি রহিম মেম্বারের পক্ষে কাজ করবো একথা বললে তারা আমাকে গালাগালি সহ হুমকী ধমকী দেয়। আমি গত ১৫/২০ দিন আগে হার্টের চিকিৎসা করে ভারত থেকে এসেছি।
হাজী সিরাজুল ইসলামের বাসায় গিয়ে কথা বললে তিনি জানান, আমি বা আমার ছেলে ফরহাদকে কোন প্রকার হুমকী দেইনি। তাকে আমার পাশে বসিয়ে আমার বিরুদ্ধে কোন প্রকার কথা না বলার জন্য অনুরোধ করি।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় সম্পর্কে কমিশনার প্রার্থী আব্দুর রহিম মেম্বার ও হাজী সিরাজুল ইসলাম আপন দুই ভাই। আব্দুর রহিম স্থানীয় আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। অপর দিকে হাজী সিরাজুল ইসলাম স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। একই বাড়ী থেকে দুই ভাই নির্বাচনের প্রার্থী হওয়ায় এলাকাবাসীও পড়েছে বিপাকে। এই ঘটনাটি সম্পূর্ণ নির্বাচনী কেন্দ্রিক।
এ বিষয়ে রহিম মেম্বার জানান, আমার সামনে দিয়ে উজ্জল হুন্ডায় করে ফরহাদকে বাড়ীতে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর অস্থির অবস্থায় ঘামিয়ে আমার কাছে আসে। আমি তাকে অসুস্থ্য অবস্থায় দেখে গাড়ী করে হাসপাতালে পাঠাই।