বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
দেশের বিভিন্ন এলাকায় শুক্রবার রাত থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জঙ্গিদের মতো হামলা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন বিএনপির এই মহাসচিব।
রিজভী আহমেদ বলেন, ‘ভোটারবিহীন সরকারের প্রতিহিংসা পূরণে বেকসুর খালাস পাওয়া মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে শনিবার বিএনপি ঘোষিত দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ মিছিল কর্মসূচি বানচাল করার জন্য সরকারের পেটোয়া বাহিনীতে পরিণত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা গতকাল রাত থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে জঙ্গিদের মতো হামলা চালাচ্ছে।’
এ হামলার মাধ্যমে বাড়িঘরে লুটতরাজ, ভাঙচুর এবং ধরপাকড়ের এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জাতীয় ঐক্যের আহ্বান, দেশের শান্তি ও স্থিতি রক্ষা করা, জঙ্গিদের সহিংস কর্মকাণ্ড দমন এবং সন্ত্রস্ত জনগণকে নিরাপত্তা বিধান সরকারের মুখ্য লক্ষ্য নয় বলে অভিযোগ করেন রিজভী।
তিনি বলেন, ‘সরকার বিদ্যমান জঙ্গি তৎপরতা টিকিয়ে রেখে অরাজকতার পরাক্রম থেকে দেশবাসীকে নিস্তার দিতে ইচ্ছুক নয়। কারণ, এ পরিস্থিতি একটি অবৈধ সরকারের জন্য পরমপ্রাপ্তি। সরকার দৃঢ়ভাবে মনে করে, এ পরিস্থিতি বজায় থাকলেই অনির্বাচিত এই সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবহমান থাকবে।’
জঙ্গিবাদ টিকে থাকলে বিরোধী দলের ওপর ক্রমাগত দায় চাপিয়ে যেতে পারলে তা সরকারের জন্য লাভজনক বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। আর এ কারণেই জঙ্গি দমনে সরকারের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ ছিল না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
রিজভী আহমেদ বলেন, সরকারের এই নির্লিপ্ততায় উগ্রবাদীরা আরো বলশালী হয়েছে এবং তাদের শিকড় আরো গভীরে গেছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, উগ্রবাদী জঙ্গিগোষ্ঠী নিয়ে সরকারের রহস্যজনক আচরণে মানুষের মনে তীব্র সন্দেহ এবং প্রশ্ন জন্ম নিয়েছে। সেটিকে ঢেকে দিতেই অর্থ পাচারের মামলায় বিচারিক আদালত কর্তৃক খালাস পাওয়ার পরও তারেক রহমানকে সাজা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘তারেক রহমানকে এই সাজা দেওয়া সরকারের অন্ধহিংসার বহিঃপ্রকাশ।’
রিজভী আহমেদ বলেন, ‘দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন এই সরকার সারা বিশ্বের সমর্থন থেকেও বঞ্চিত। এই একাকিত্বে ভারতের সহায়তা ছাড়া এই সরকারের আর কোনো অবলম্বন নেই। পরনির্ভরশীল এই সরকার দেশে স্থিতিশীলতা আসুক, সেটি কখনোই চাইবে না। কারণ, সরকার ভারতের প্রতি গদগদ আত্মনিবেদন করতে গিয়ে দেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়েছে। শুক্রবার আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, ভারতের সঙ্গে তাদের নাকি আত্মার সম্পর্ক, তিনি ঠিকই বলেছেন। কারণ যাদের দেশের মানুষের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই, তারা তো একটি বিশেষ শক্তির নিকট অনুগ্রহভাজন হয়েই থাকবেন, আত্মাকে বিক্রি করে দেবেন।’