স্টাফ রিপোর্টার,বিজয় বার্তা ২৪
বিএনপির আগামীকাল শনিবারের কাউন্সিলের কার্যক্রম শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম-মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
শুক্রবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কাউন্সিলের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী আহমেদ বলেন, শনিবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির বহু কাঙ্খিত ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলন ও কাউন্সিল-২০১৬ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ রমনায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বিএনপির কাউন্সিলকে ঘিরে ইতোমধ্যে সারাদেশের বিএনপি নেতাকর্মী ও কোটি কোটি সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও প্রাণচাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে এই কাউন্সিলকে ঘিরে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। ইতোমধ্যে কাউন্সিলের প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে। কাউন্সিলকে সফল করতে গঠিত সকল উপ-কমিটি তাদের কার্যক্রম শতভাগ সম্পন্ন করেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, শুরু থেকেই আমরা কাউন্সিলের জন্য বিআইসিসিসহ তিনটি স্থান বরাদ্দ পাওয়ার জন্য আবেদন করলেও সরকার তা নিয়ে গড়িমসি শুরু করে। যাইহোক শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাউন্সিলের জন্য ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের পার্শ্ববর্তী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অনুমতি দেয়ায় যথাযথ কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
রিজভী আহমেদ বলেন, শনিবার প্রত্যাশা অনুযায়ী নেতাকর্মী সমবেত হয়ে কাউন্সিল সফলভাবে সম্পন্ন হবে, যা ইতোমধ্যেই আমরা সকলেই উপলব্ধি করতে পারছি।
তিনি বলেন, সারাদেশ থেকে যেভাবে নেতাকর্মীরা বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ভীড় জমাচ্ছেন তাতে ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের পরিবেশ জমজমাট হয়ে উঠেছে। এই কাউন্সিল সফলতার সাথে সম্পন্ন হয়ে আগামী দিনের গণতান্ত্রিক আন্দোলন আরো বেগবান হবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাশা করি।
রিজভী আহমেদ বলেন, ভঙ্গুর গণতন্ত্রের এই দেশে মানুষের হারানো অধিকার ফিরিয়ে আনতে দেশের সংগ্রামী মানুষ যে আজ ঐক্যবদ্ধ এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি আস্থাশীল তা ইতোমধ্যে প্রতিফলিত হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশরক্ষার আন্দোলনে সাড়া দিয়ে দেশের সর্বস্তরের জনতা আগামী দিনের গণতান্ত্রিক আন্দোলন সফল হবে, মানুষ ফিরে পাবে গণতন্ত্র, তাদের বাকস্বাধীনতা।
তিনি বলেন, শনিবার বিএনপির যে কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তার মাধ্যমেই বিএনপি আরো এক ধাপ শক্তিশালী সংগঠন হয়ে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখবে। মানুষের এই প্রত্যাশা পূরণ করতেই বিএনপির আগামীকালকের ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলন ও কাউন্সিল একটি যুগান্তকারী রাজনৈতিক ঘটনা হিসেবে ইতিহাসে স্থান পাবে।
আগামীকাল শনিবারের কাউন্সিলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
সারাদেশ থেকে কাউন্সিলবৃন্দ ও ডেলিগেটরা ইতোমধ্যে ঢাকায় পৌঁছেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিট থেকে আগত নেতৃবৃন্দ অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে ডেলিগেট ও কাউন্সিলর কার্ড সংগ্রহ করেছেন। কাউন্সিলকে শতভাগ সফল ও সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে গঠিত বিভিন্ন উপ-কমিটিগুলো এবং সংশ্লিষ্ট সবাই রাতদিন পরিশ্রম করছেন। এজন্য দলের পক্ষ থেকে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা যারা আমাদের কাউন্সিল সংক্রান্ত খবর কষ্ট করে সংগ্রহ ও তা প্রচার ও প্রকাশ করছেন এবং আগামীকালও কাউন্সিল সফল করতে ভূমিকা পালন করবেন তার জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।