বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
বিরোধী দল বিএনপি গণতন্ত্রের কথা বলে পরিবেশ গরম করার চেষ্টা করছে। তাদের অগ্নিসন্ত্রাসের কার্যক্রম জনগণ দেখেছে বলে মন্তব্য করেছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেলপথের ডাবল লাইন প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণই সব ক্ষমতার উৎস। আপনারা জানেন বিএনপি আজকে গণতন্ত্রের কথা বলে পরিবেশ গরম করার চেষ্টা করছে। এদের আপনারা চেনেন, তারা কোথা থেকে এসেছে, তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড কী। মানুষ হত্যা করে, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে এরা ক্ষমতায় এসেছে। আর তারাই বলছে আমরা গণতন্ত্র দেব।’
সুজন বলেন, ‘অথচ তারাই গণতন্ত্রকে নষ্ট করেছে, মানুষের ভোটের অধিকারকে নষ্ট করেছে; যেটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম করে আমরা গণতন্ত্র উদ্ধার করেছি।’
তিনি বলেন, ‘মানুষ এখন দেখছে এই গণতান্ত্রিক সাংবিধানিক ধারা এটা যাতে অব্যাহত থাকে। এটার ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এবং যারা বিরোধী দল তাদের কাছে আহ্বান থাকবে, তারা গণতান্ত্রিক পন্থায় ফিরে আসবে।’
রেলমন্ত্রী সুজন বলেন, ‘বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাসের কার্যক্রম জনগণ দেখেছে। এই দেশকে একটা অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য সব আয়োজন করেছিল। এরাই স্লোগান দিয়েছে আমরা হব তালেবান, বাংলা হবে আফগান। এই অগ্নিসন্ত্রাস থেকে বাংলাদেশের মানুষ এখন অনেক স্বস্তির মধ্যে আছে। দেশের উন্নয়নের ধারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অব্যাহত রাখতে চায়।’
বন্ধ থাকা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটের ট্রেন চলাচল কবে চালু হবে জানতে চাইলে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘প্রজেক্টের কারণে থিউরিটাক্যালি এ অংশটা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। সেটা আমার ধারণা এখন আর থাকবে না। কারণ, এটাতে এখন আর কারও কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। রেললাইনটি তো নারায়ণগঞ্জের মানুষের সুবিধার জন্যই হচ্ছে। বর্তমান যুগে একটা ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা ছাড়া একটা দেশের টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ কাছাকাছি রেলপথে অনেক মানুষ চলাচল করেন। বর্তমানে রেল ছাড়া সব পরিবহনের ভাড়া বেড়েছে। আমাদের এই ডাবল লাইনটি যদি হয়ে যায় তাহলে নারায়ণগঞ্জে প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ৫০টি ট্রেন আসা-যাওয়া করতে পারবে। অচিরেই এটা চালু হবে।’
রেলমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা এই বছরের জুন মাসের মধ্যে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত পদ্মাসেতু অতিক্রম করে রেল চলাচলের জন্য উপযোগী করতে পারব। তবে মূল প্রজেক্ট যেটা, ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত সেটা ২০২৪-এর মধ্যে শেষ হবে। কাজটি দ্রুত শেষ করার জন্য চেষ্টা চলছে।’
এ সময় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর অনুরোধে রেলওয়ের জায়গায় নির্মিত শেখ রাসেল পার্ক পরিদর্শনে যান মন্ত্রী।
রেলমন্ত্রী পার্কে বলেন, ‘রেলওয়ের জায়গাটি নোংরা ছিল। একটা উদ্যোগ নিয়ে সরকারি সংস্থা এখানে পার্ক নির্মাণ করেছে। যেহেতু একটা ভালো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, কাজেই আমরা এর প্রশংসা করি। রেলওয়ের অনেক জায়গা জনস্বার্থে বা দেশের স্বার্থে সেগুলোর ব্যবহারে সরকারিভাবে একটা সমঝোতা দরকার। সমস্যাগুলো সমাধানের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই আমরা সমাধান করেছি। এই শেখ রাসেল পার্কের ক্ষেত্রেও আলোচনার মধ্য দিয়ে যাতে সমস্যার সমাধান করতে পারি, আমরা সেই নীতিই গ্রহণ করব।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল আহসান, প্রকল্প পরিচালক আব্দুর রউফসহ রেলওয়ে ও জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।