বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, গতকাল বিএনপির প্রোগ্রামে স্লোগান দিয়েছে। নারায়ণগঞ্জে অনেক নেতা আছেন নৌকা নিয়া পাশ করেন। কে কার ওকিল বাপ, কে কার ওকিল মা আমরা জানি। এটা কী স্লোগান আমি জানতে চাই। তারা বলেছে, “হরে কৃষ্ণ হরে রাম, শেখ হাসিনার বাবার নাম”। পাঁচ মিনিটও লাগবে না আমাদের মাটির নিচ থেকে খুঁজে বের করে আনতে। ধৈর্য ধরেছি। জনগণ ভীমরুলের চাক নিয়ে আপনাদের সামনে এসে হাজির হবে। আমি সবকিছু বুঝি। বাংলাদেশে খুনের রাজনীতি কায়েম করার চেষ্টা হচ্ছে। ওরা ওদের দলের নেতাদের মেরে নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করছে।
রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী এমডব্লিউ স্কুলে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, গতকাল রাত থেকে আমি মানসিকভাবে অস্থির। আমি চাপ নিতে পারছি না। শনিবার বিএনপি তাদের দলীয় কর্মসূচিতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অবমাননাকর স্লোগান দিয়েছে। তারা বলেছে, ‘হরে কৃষ্ণ হরে রাম, শেখ হাসিনার বাবার নাম’। পাঁচ মিনিটও লাগবে না আমাদের মাটির নিচ থেকে খুঁজে বের করে আনতে। রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে
শামীম ওসমান আরো বলেন, ধৈর্য ধরেছি। জনগণ ভীমরুলের চাক নিয়ে আপনাদের সামনে এসে হাজির হবে। আমি সবকিছু বুঝি। বাংলাদেশে খুনের রাজনীতি কায়েম করার চেষ্টা হচ্ছে। ওরা ওদের দলের নেতাদের মেরে নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করছে। নারায়ণগঞ্জে অনেক নেতা আছেন নৌকা নিয়া পাশ করেন। কে কার ওলির বাপ, কে কার ওলির মা আমরা জানি। এটা কী স্লোগান আমি জানতে চাই ।
তিনি বলেন, ওরা ক্ষমতায় এসে আমার বাড়িতে হামলা করেছে আগুন দিয়েছে। আমার দাদার বাড়ি বাইতুল আমান ভেঙে দেয়া হয়েছে। আমার ভাইয়ের খামারে গিয়ে গরুর দুধের বান কেটে ফেলেছিল। শুধুমাত্র আমার ভাই হওয়ার অপরাধে তাকে তুলে নিয়ে টর্চার করেছে। আমরা কিছু করিনি, মাফ করে দিয়েছি। নারায়ণগঞ্জে ভাষা সামলান। এমন কোন কাজ করবেন না যেন নারায়ণগঞ্জ অস্থির হয়।
শামীম ওসমান আরো বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি যখন ক্ষমতায় আসে তখন আমাদের শাহীনকে হত্যা করা হয়েছিল, সুন্দর আলীকে ভাইকে মেরে ফেলা হয়েছিল, আমাদের মোজাফফর ভাইকে মেরে ফেলা হয়েছে। আমরা কি অপরাধ করেছিলাম? কোন খুনী মেরেছিল তাদের? আমরা কি মানুষ না। আমরা মরলে কি আমাদের সন্তানরা কাঁদে না। আমরা মরলে কি আমাদের বাচ্চারা এতিম হয় না। আমাদের রাজনীতি করার কথা ছিল না। যদি বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকতেন। আমারতো জীবন শেষ। আমি চলে যাবো। তোমরা থাকবে। আমরা তোমাদের সুন্দর জীবন দিতে চাই। শেখ হাসিনা তোমাদের ভবিষ্যত। আমাদের রাজনীতি করার কথা না। আমাদের ভাইদের মারা হয়েছে আমরা প্রতিশোধ নেইনি। ওরা আমাদের শৈশবকে মেরেছে। যৌবনকে হত্যা করেছে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বাবু চন্দন শীল, নাসিক ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি সহ শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রীবৃন্দ।