স্টাফ রিপোর্টার,বিজয় বার্তা ২৪
বিএনপিকে দুর্বল করতেই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। এসময় তিনি সরকার ‘পতন’র ভয়ে আছে বলেও মন্তব্য করেন।
বুধবার সন্ধ্যায় দলটির নয়াপল্টনস্থ দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে রিজভীর নেতেৃত্বে নয়াপল্টনে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা।
রিজভী আহমেদ বলেন, সরকার নিজেদের পতনের শব্দ শুনতে পাচ্ছে। সে কারণে সরকার এসব ষড়যন্ত্রের পথ তৈরি করছে। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই রাজনৈতিক, বানোয়াট, মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে আগেও দুর্বল করতে পারে নি। ভবিষ্যতেও পারবে না। যাত্রাবাড়ি থানায় যখন মামলা হয় তখন খালেদা জিয়াকে সরকার বালির ট্রাক দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। কাউকে তার সাথে দেখা করতে দেয় নি। তাহলে তিনি কিভাবে বোমা মারার হুকুম দিলেন। তাছাড়া সরকার গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার জন্য সরকারের বাহিনী, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ দিয়ে বোমা মারিয়েছে। যা তখন বিভিন্ন পত্রিকায় ছাপা হয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, অদ্ভুদ এই সরকারের আচরণ। ১৯ মার্চ সফল ভাবে আমাদের দলের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। কাউন্সিলরা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দলের নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষমতা দেয়া হয়। খালেদা জিয়ার মনোনিত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নাম ঘোষণার পর পরই তার জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণ করে। আমরা এর প্রতিবাদ করেছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এডভোকেট আহমেদ আজম খান, বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক গাজী মাজাহার আনোয়ার, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, জাসাসের সভাপতি আব্দুল মালেক, কণ্ঠ শিল্পী বেবী নাজনীন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, বুধবার দুপুরে যাত্রাবাড়ীতে বাসে প্রেট্রলবোমা হামলার ঘটনায় একটি মামলায় খালেদা জিয়াসহ ২৮ জন বিএনপির নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কামরুল হোসেন মোল্লা এ পরোয়ানা জারি করেন।