খেলাধূলাডেস্ক,বিজয় বার্তা ২৪
১৯৭৩-৭৪ মরশুমে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা উঠেছিল বায়ার্ন মিউনিখের মাথায়৷ ৪২ বছর আগের কথা৷সেবারই প্রথম ইউরোপ সেরা হওয়ার স্বাদ পেয়েছিল বায়ার্ন৷ বুধবার সেই বায়ার্নকে হারিয়েই চলতি মরশুমে এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে পৌঁছে গেল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ৷
২৮ মে মিলানে অ্যাটলেটিকোর দেখ হবে রিয়াল মাদ্রিদ কিম্বা ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের মধ্যে যেকোনো একজনের সঙ্গেই৷ আজ রাতেই তার উত্তর জানা যাবে৷এদিনই বার্নাব্যুতে সেমিফাইনালের সেকেন্ড লেগে মুখোমুখি হবেন রোনাল্ডো-অ্যাগুয়েরোরা।
একটু ফ্ল্যাশব্যাকে যাওয়া যাক৷ সাল ১৯৭৫, ১৯ সেপ্টেম্বর৷ব্রাসেলসের হেইসেল স্টেডিয়ামে ইতিহাস রচনা করেছিল বায়ার্ন৷১৯৫৫ সালে শুরু হওয়া এই ঐতিহ্যবাহী টুর্নামেন্টে সেবারই ফাইনালে প্রথম রিপ্লে ম্যাচ হয়েছিল৷ কারণ আগের ম্যাচটি অতিরিক্ত সময় ১-১ শেষ হয়েছিল৷ রিপ্লে ম্যাচে বায়ার্ন ৪-০ গোলে হারিয়েছিল অ্যাটলেটিকোকে৷
সেসময় জার্মান কোচ ছিলেন উডো ল্যাটেক৷ অন্যদিকে অ্যাটলেটিকোর কোচ ছিলেন আর্জেন্তাইন জুয়ান কার্লোস লরেঞ্জো৷উলি হোয়েনে ও গার্ড মুলার সেম্যাচে জোড়া গোল করেছিলেন৷
জ্যাভিয়ার ইরুয়েতা, হোসে গারাতেরা সেদিন মাথা নিচু করেই মাঠ ছেড়েছিলেন৷কিন্তু এদিন তোরেস-গ্রিজম্যানরা হাসতে-হাসতে মাঠ ছাড়লেন৷বায়ার্নের অভিশপ্ত ৭৫’এর অভিশাপ ঘুচল ২০১৬-তে৷ মাঝখানে পেরিয়ে গিয়েছে ৪২টা বছর৷পেপ গুয়ার্দিওয়ালার দলকে হারিয়ে প্রতিশোধ নিলেন দিয়েগো সিমিওনে৷
মঙ্গলবার সেমি-ফাইনালের দ্বিতীয় লিগে বায়ার্নকে হারাতে না পারলেও স্প্যানিশ ফুটবলের তৃতীয় শক্তি নিজেদের দাঁতে-দাঁত চেপে লড়াই করে আরো একবার জানিয়ে দিল যে তারা বিশ্বফুটবলের ‘জায়ান্ট কিলার’৷
বায়ার্নের ঘরের মাঠ অ্যালায়েঞ্জ এরিনায় জার্মান দলটির কাছে ২-১ গোলে হারলেও মূল্যবান অ্যাওয়ে গোলের সুবাদেই ফাইনালের টিকেট পেয়েছে রেড অ্যান্ড হোয়াইটসরা৷দুই লেগ মিলিয়ে ম্যাচের ফল ২-২৷ নিজেদের ঘরের মাঠ ভিসেন্ট ক্যালডেরনে প্রথম লেগে ১-০ গোলে জিতেছিল অ্যাটলেটিকো।
এদিন শুরু থেকেই বায়ার্ন দুর্দান্ত আক্রমণাত্মক ভাবে খেলা শুরু করে৷৩১ মিনিটে জাভি আলোন্সোর গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন৷ ৫৩ মিনিটে গোল শোধ করেন অ্যান্টোনি গ্রিজম্যান৷এরপর ম্যাচের ৭৪ মিনিটে রবার্ট লেওয়ানডস্কি বায়ার্নের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেও ভাগ্য বদলাতে পারলেন না৷ ২০১৩-১৪ মরশুমে ফাইনালে উঠলেও রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আশাভঙ্গ হয় অ্যাটলেটিকোর৷ এবার ফের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে সিমিওনের শিষ্যরা৷