নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
দীর্ঘ ১২ বছর(একযুগ) ধরে পুরনোদের দিয়েই চলছে বন্দর থানা যুবলীগ। সাংগঠনিক ক্ষেত্রে আওয়ামীলীগের পরবর্তী সহযোগী সংগঠন হিসেবে যুবলীগের অবস্থান থাকার কথা থাকলেও বন্দর থানা যুবলীগ তা থেকে সরে এসেছে। দক্ষ নেতৃত্বের অভাবে যুবলীগ যেন নামকাওয়াস্তে টিকে আছে। নারায়ণগঞ্জ সদর ও বন্দরের সাবেক পৌর এলাকা নিয়ে সম্প্রতি সিটি কর্পোরেশনে উন্নীত হওয়ায় শীতলক্ষ্যার পূর্ব পাড়ের ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে শীঘ্রই গঠিত হবে বন্দর উপজেলা যুবলীগ। দলীয় গ্রীণ সিগন্যাল পেলেই যথাদ্রুত এ কমিটি গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে এমনটাই জানিয়েছে দলীয় একটি সূত্র। এক্ষেত্রে কমিটি গঠন প্রক্রিয়া কবে নাগাদ শুরু হয় সেই বিষয়ে কারো কোন গুরুত্ব না থাকলেও উপজেলার ৪টি ওয়ার্ড নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে অর্ন্তভূক্ত হওয়ার পর হতেই উপজেলা পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা এখন থেকেই তাদের অবস্থান সুংসহত করতে তৎপর হয়ে উঠেছেন। প্রকাশ্যে না হলেও বন্দর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি,সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ইতোমধ্যে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে সভাপতি পদে থানা যুবলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এম এ হাতেম এবং সাধারণ সম্পাদক পদে থানা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস আই জুয়েল ও কলাগাছিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শোয়েব মোহাম্মদ লিটন ও আনোয়ার হোসেন স্বপন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মনিরুজ্জামান উজ্জল অন্যতম। সভাপতি পদে কোন প্রার্থী না থাকায় খন্দকার হাতেম এ পদে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা উজ্জল হয়ে উঠেছে। সাধারণ সম্পাদক পদে এস আই জুয়েল,শোয়েব মোহাম্মদ লিটন ও আনোয়ার হোসেন স্বপনের আগ্রহের সঞ্চার হলেও দলীয় মাপ কাঠিতে এ পদে জুয়েলের সম্ভাবনা অনেকটা নিশ্চিত বলা যেতে পারে। শোয়েব মোহাম্মদ লিটন ছাত্রলীগের পুরনো নেতা হিসেবে সর্বত্রই বেশ পরিচিতি থাকলেও সিনিয়র হিসেবে তাকে ডিঙ্গিয়ে ওই পদে আসীন হওয়াটা খুবই দুঃস্কর বলে মনে করছে অনেকেই। একই পদে আগ্রহী স্বপনের দলীয় কোন পদ না থাকায় নীতি নির্ধারকদের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা ম্লান হওয়ার মতোই। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে এ যাবত কারো কোন প্রার্থীতার নাম উঠে না আসায় মনিরুজ্জামান খোকনের অবস্থান নিঃসন্দেহে সুসংহত বলা চলে। দলের অনেকেরই মতে,বন্দর উপজেলা যুবলীগের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম এমন নেতৃত্বের হাতেই সোপর্দ্য করা উচিত।