বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
বন্দরের সাব রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে বুধবার সকালে অতি সম্প্রতি কাল্পনিক ভাবে গঠিত হওয়া বন্দর থানা দলিল লিখক ও ভেন্ডার সমিতির ভূয়া কমিটির বাতিলকরণ ও দ্রুত একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে কার্যনির্বাহি কমিটি গঠনের লক্ষ্যে এক জরুরি সভায় মিলিত হন সকল দলিল লিখক, ভেন্ডার ও সংশ্লিষ্টরা। সভায় এক বক্তৃতায় সিনিয়র দলিল লিখক ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল আজিজ দেওয়ান বলেন ‘১৫/১১/১৫ তারিখে অত্র সমিতির পক্ষ থেকে অহিদুল ইসলাম কর্তৃক এমপি সেলিম ওসমানের কাছে প্রেরিত এক পত্র মারফত আমরা জানতে পারি যে, পূর্বের কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ২ বছর পার হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত কমিটি ভেঙ্গে না দিয়ে পূর্বের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সমিতি পরিচালনা করছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে নতুন উপদেষ্টা কমিটি গঠনের মাধ্যমে অচিরেই নির্বাচনের অনুরোধ জানানো হয়। উক্ত চিঠির প্রেক্ষিতে এমপি সেলিম ওসমান সাব রেজিস্ট্রারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে পূর্বোক্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক হুমাযুন কবির মৃধা কর্তৃক ২১/০৭/১৬ তারিখে এমপি’র বরাবর ৩ বৎসর মেয়াদী বন্দর থানা দলিল লিখক ও ভেন্ডার সমিতির কার্যকরী কমিটি গঠনের অনুমতি চেয়ে একটি পত্র প্রেরণ করলে পুনরায় এমপি সেলিম ওসমান সাব রেজিস্ট্রারকে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। কিন্তু এমপির নাম ভাঙ্গিয়ে বিধি শব্দের অপব্যাখ্যা করে মনগড়া মত কমিটি গঠন করা হয়। বিধি মানে আইন, আর আইন মানে নির্বাচন, এমনটাই এমপি সেলিম ওসমান ইঙ্গিত পোষণ করলেও, এমপির নির্দেশনা সাব রেজিস্টারকে দেখিয়ে, তার সুপারিশ নিয়ে পুনরায় এমপির কাছে সাব রেজিস্ট্রারের সুপারিশমালা দেখিয়ে অত্র কমিটির অনুমোদন নেয়ার পায়তারা করেছিল তারা। যারা নির্বাচন আয়োজনে উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ছিলেন তারাই গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করেছে। দীর্ঘ ৯ বৎসর যাবৎ আমরা ভোট দেবার সুযোগ থেকে বঞ্চিত রয়েছি। আমি আপনাদের কঠোরভাবে হুশিয়ারি দিতে চাই, অচিরেই নাম প্রত্যাহার করুন, ক্ষমা চান এবং সাহস থাকলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে শক্তিমত্তার পরিচয় দিন। তার ব্যতিক্রম হলে পরিণাম ভাল হবেনা’। সকলে হাত উঠিয়ে তার বক্তব্যের সমর্থন করেন এবং দ্রুত নির্বাচনের অনুরোধ জানান। অপর এক বক্তৃতায় মাজহারুল আলম খান পাভেল বলেন ‘আঃ আজিজ ভাই যা বলেছেন আমরা তার সমর্থন জানাই। নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই। অচিরেই আপনারা দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিন এবং নির্বাচনের মাধ্যমে সঠিক নেতৃত্ব তৈরী করুন’। সাব রেজিস্ট্রার স্মৃতি কণা সভার বিষয়ে জ্ঞাত হন এবং এমপি সাহেবের নির্দেশনা মোতাবেক নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে উপস্থিতদের আশ্বস্ত করেন। উল্লেখ্য, গতকালই হুমায়ুন কবির মৃধা সাব রেজিসট্রারের বরাবর পদত্যাগ পত্র জমা দিয়ে সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। অত্র থানার আওতাভূক্ত দলিল লিখক হাজ্বী এ বি সিদ্দিকি, মোহাম্মদ খোকন, জাহাঙ্গির কবির লিটু, আঃ কাদির, জসিম উদ্দিন সরকার, মোঃ সাজ্জাদুল ইসলাম, আশরাফুল আলম, নাজিমউদ্দিন, শরীফ উদ্দিন, নাজমুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, আলমগীর, সুমন শেখ, রহমত উল্লাহ মিন্টু, আঃ রহিম, রাকিব উল্লাহ রাজীব, ডি এম মাসুম, রেদোয়ান, শেখ মোঃ হাকিম, আবুল হোসেন, মুজাম্মেল হক, এস এম সোলায়মান, সাদেকুর রহমান, আমির হোসেন, আরিফ হোসেন, রাহান শরীফ রানা, আনোয়ার হোসেন, হাবিবুর রহমান, রমজান হোসেন রাজু, গোলজার হোসেন, শহীদ খোকন, মাহমুদুল হাসান, শাহজালাল চৌধুরী, মোক্তার হোসেন, রানা আহম্মেদ রনক, গোলাম মোস্তফা, আঃ জলিল, দীন ইসলাম দীপু, ইসমাঈল মিয়া সহ অন্যান্য দলিল লিখক ও ভেন্ডাররা উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন।