বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জে এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন নিরীহ ভূমি মালিক হাজী কামাল প্রধাণ। সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ ২য় জেলা সাব জজ আদালতে ওই মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় উল্লেখ করা হয়। যার নং মামলা নং-১২৮/১৭ । মামলায় উল্লেখ করা হয়, ছোট বাড়ৈই খালী মৌজার বন্দর থানার এলাকায় প্রধান মোঃ আয়ুব আলীর কাছ থেকে ২০১৫ সালের ৪ মে ৩+৩ = একুনে ৬ শতাংশ জমি ক্রয় করেন হাজী কামাল প্রধাণ। এরপর ০৩ শতাংশ এবং পরে একই বছরের ১৪ জুলাই আরো ০৩ শতাংশসহ মোট ০৬ শতাংশ নালজমি ক্রয় সূত্রে মালিক হন তিনি। উক্ত প্রথম ০৩ শতাংশের উপর দ্বিতীয় তলা নির্মানাধীন বিল্ডিং এর বাকী ০৩ শতাংশের উপর কাঁচা তরি তরকারী চাষাবাদ করে আসছেন। ইতিমধ্যে কামাল প্রধান পরের ০৩ শতাংশ নালজমি তার ভাই-বোনকে হেবা করে দেন তাদের নামে নামজারী খাজনাদি দিয়ে শান্তিতে ভোগ দখল করা অবস্থায় আইয়ুব আলী হঠাৎ এসে বলেন তিনি এই সম্পত্তি বিক্রি করেন নাই। এই মর্মে বন্দর বিজ্ঞ সহকারী ভূমি অফিসে একটি মিস কেইস করেন যাহার নং-৯২-১৭ বিজ্ঞ সহকারী ভূমি কর্মকর্তা জবাব দাখিলের জন্য জমির বর্তমান মালিক কামাল প্রধানকে নোটিশ প্রদান করেন। বিগত চলতি বছরের ১ মে হাজির হওয়ার জন্য বিবাদী তথা কামাল প্রধান আইনে প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে গত ২৯মে ০২ জন আইনজীবিসহ বিবাদী তথা কামাল প্রধান হাজির হয়ে জবাব দাখিলের জন্য সময় প্রার্থনা করলে ভূমি সহকারী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা বলেন,কোন প্রকার সময় দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন এবং কোন প্রকার তদন্ত ছাড়াই এক তরফা আদেশ দেন এ নিয়ে আইনজীবি এবং ভূমি সহকারী কর্মকর্তার মধ্যে হট্টোগোল লেগে যায় আইনজীবির প্রশ্ন যেহেতু প্রথম হাজিরা আমার মোয়াক্কেলের পক্ষে সময় প্রার্থনা করা হয়েছে। সেহেতু আইন অনুযায়ী সময় দিযে আপনি বাধ্য কিন্তু কোন প্রকার কথা না শুনে ভূমি কর্মকর্তা একতরফা আদেশ দেন বাদীর পক্ষে। বিবাদী এই একতরফা রায়ের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ ২য় জেলা সাব জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন, মামলার নং-১২৮/১৭ বিজ্ঞ আইনজীবির মতামত কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায় ভূমি কর্মকর্তা যে আদেশ দিয়েছেন সেটা আইন পরিপন্থি ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই আদেশ দিয়েছেন। বিজ্ঞ ২য় জেলা সাব জজ এর বিচারক উৎপল চৌধুরী সকল কিছু পর্যালোচনা করে বিবাদীদের তথা আইয়ুব আলী ও মোকাবেলা বিবাদী বন্দর ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে আগামী ৫জুলাই হাজির হওয়ার জন্য আদেশ প্রদান করেন। এ দিকে আদালত পাড়ায ব্যাপক হৈচৈ পড়ে যায় এই মামলা দাখিল করা বিষয় নিয়ে বিজ্ঞ আইনজীবিগণ বলেন,বন্দর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা যে আদেশ দিয়েছেন, মনে হচ্ছে ঐ সম্পত্তি তিনি নিজে কিনেছেন অথবা মামলার বাদী তার কোন নিকট আত্মীয় বাংলাদেশের দেওয়ানী মামলার কোন আইনে নেই তিনি যেভাবে এই আদেশ প্রদান করেছেন। তিনি দলিল দেখে আদেশ দিয়েছেন বলেছেন, সিবিল কোট ব্যতিত কারো কোন এখতিয়ার নেই দলিল আসল নকল যাচাই করার, তিনি উচ্চ আদালতকে ব্যায়লড করে একতরফা আদেশ দিয়েছেন যা জাতির জন্য খুবই দুঃখজনক, এক আইনজীবি বলেন আমার ওকালতি পেশায় এই প্রথম এই ধরনের আদেশ দেখলাম, বিবাদীকে জবাবের সুযোগ না দিয়ে প্রথম তারিখেই মামলার এক তরফা রায়। এই মামলার বাদী কামাল প্রধান ২য় জেলা সাব জজ আদালতে মামলার পাশাপাশি তিনি ঐ রায়ের বিরুদ্ধে এ.ডি.সির বরাবরে আপিল করেছেন। মিস আপিল মামলা নং-২৩/১৭।