বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে তিন হাজার অবৈধ আবাসিক গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে অভিযান চালিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। রবিবার বেলা সাড়ে ১১ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত উপজেলার মদনপুর কেওডালা এলাকায় বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম কুদরত-এ-খুদার নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় দুইটি কয়েল ফ্যাক্টরি সহ প্রায় এক হাজার অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে কর্তৃপক্ষ। অবৈধভাবে ব্যবহৃত বিপুল পরিমান পাইপ ও রাইজার জব্দ করে ভ্রাম্যমান আদালত। পর্যায়ক্রমে আরো অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
তিতাস গ্যাসের সোনারগাঁ আঞ্চলিক বিপনন বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. সুরুজ আলম জানান, বন্দরের কেওডালা এলাকায় রাজনৈতিক প্রভাবশালিদের ছত্রছায়ায় উচ্চ চাপসম্পন্ন শিল্প সংযোগ থেকে অবৈধভাবে তিন ইঞ্চি ব্যাসার্ধের পাইপ দিয়ে তিন কিলোমিটার বিস্তৃত আবাসিক সংযোগ নেয়া হয়েছে। এই পাইপলাইনটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং যে কোন সময় এই এলাকায় বড় ধরণের দূর্ঘটনার আশংকাও রয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে আইনশৃংখলা বাহিনীর সহায়তায় বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম কুদরত-এ-খুদার নেতৃতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে অবৈধ সংযোগগুলো বিচ্ছিন্ন করে দেয়। সকল অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করা পর্যন্ত অভিযান আব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
এসময় স্থানীয় জনগন গ্যাসের সংযোগ বৈধ করার ব্যবস্থা করে দেওয়ার দাবি জানান এবং যারা অর্থের বিনিময় অবৈধ সংযোগ দেয় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান তারা।
বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম কুদরত-ই-খুদা জানান, নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় বেশ কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিছু দুষ্কৃতিকারীরা রাতরে আধারে সেই লাইন থেকে পাইপলাইন স্থাপন করে এখানে প্রায় তিনহাজার বাড়ি ঘর ও দুইটি কয়েল কারখানায় অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ গ্যাস বিক্রি করতেন। এমন খবরের ভিত্তিতে আজ এই এলাকায় স্থানীয় প্রশাসন ও তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের সহায়তায় আজ অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এক কিলোমিটার গ্যাস পাইপ জব্দ করা হয়েছে। কয়েল কারখানা দু’টিতে নিয়মিত মামলা দায়েরেসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
এসময় বন্দর উপজেলা প্রশাসন ও তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।