বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৪নং ওয়ার্ডস্থ নবীগঞ্জ এলাকায় যানবাহনে পার্কিং টোলকে পুজি করে ব্যাপক চাদাবাজীতে লিপ্ত রয়েছে একটি চাঁদাবাজ চক্র। একাধিকবার র্যাব-১১’র অভিযানে চাঁদাবাজদের গ্রেফতার করলেও ওই এলাকায় বিভিন্ন যানবাহন থেকে এখনও দেদারসে চলছে নিরব চাঁদাবাজী এমন কথা জানিয়েছেন ভূক্তভোগী মালিক সমিতি ও পরিবহন চালক ও শ্রমিকরা।
তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন,সাম্প্রতিক সময়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন থেকে একাধিকবার তদন্তে আসলেও চাঁদাবাজদের দৌরাত্ব এখনও চলছে বলে জানা যায়। নাসিক থেকে পার্কিং টোল ইজারা নেন হাজী মোঃ গোলাম হোসেন নামে এক ব্যাক্তি। অথচ একই স্থানে পার্কিং টোল আদায়ের নামে একাধিক স্থানে চাঁদা আদায় করতে দেখা গেছে। মাঝে মাঝে জোরপূর্বক চলন্ত ট্রাক থামিয়ে ১’শ থেকে ২’শ টাকাও চাদাঁ আদায় করতে দেখা গেছে। চালকরা প্রতিবাদ করলে তাদের উপর নেমে আসে নির্যাতনের খড়গ। এ পর্যন্ত একাধিক চালকরা তাদের হাতে মারধরেরও স্বীকার হয়েছেন।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান,সিটি কর্পোরেশনের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে তারা চাদাঁ উত্তোলণ করে থাকে। নাসিক ২৪নং ওয়ার্ডের পার্কিং টোল আদায়ের ইজারাদার হাজী মোঃ গোলাম হোসেন ও ছাত্রলীগনেতা রাজু আহাম্মেদ সুজনের শেল্টারে কয়েকজন ব্যাক্তি সিটি টোলের নামে নবীগঞ্জের বিভিন্ন সড়ক থেকে চাঁদা আদায় করে থাকে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে একাধিকবার গ্রেফতার হলেও তাদের টনক নড়েনি। তারা প্রশানকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে এখনও কৌশলে বিভিন্ন যান বাহন থেকে চাদাঁবাজী অব্যাহত রেখেছে।
চাদাঁ উত্তোলনকারী ব্যাক্তিরা হচ্ছে ১নং স্পট মোস্তাক,সুজন,গুলজার,কালাম ও ২নং স্পট নবিগঞ্জ কামালউদ্দিনের মোড় হইতে ঈদগাহ্’র সামনে থেকে টোল আদায় করছে উজ্জল,শহীদ,আলী ও শাহাবুদ্দিন এবং ৩নং স্পট হচ্ছে কৃষœার মিষ্টির দোকানের সামনে থেকে কালামগং।
এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী মালিক সমিতি-পরিবহন চালক ও শ্রমিকরা চাঁদাবাজদের হাত থেকে পরিত্রান পেতে জেলা পুলিশ সুপার হারুনুর রশিদ মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।