বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
বন্দর উপজেলাধীন নাজিমউদ্দিন ভূঁইয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের পিছনের রাস্তায় ১০০ পিছ ফেন্সিডিল সহ আমির হোসেন (২৮) নামের এক ফেন্সিডিল ব্যবসায়ীকে হাতে নাতে গ্রেফতার করার পরও পুলিশকে নাজেহাল ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে হ্যান্ডকাপ নিয়ে ধৃত আমির পলায়ণ করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আমির হোসেন মদনপুর বড়বাড়ি গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে বলে জানা গেছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, শনিবার আনুমানিক গভীর র্নিদিষ্ট গন্তব্যে পৌছে দেবার জন্য আমির হোসেন উক্ত কলেজের পিছনের রাস্তা ব্যবহার করে তার নিজ বাসা থেকে একটি ব্যাগে করে উক্ত ১০০ পিছ ফেন্সিডিল নিয়ে যাচ্ছিল। সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বন্দর থানার এস আই সামশুজ্জোহা ও সঙ্গীয় ফোর্স সবুজ আগ থেকেই সেখানে অবস্থান নেয় এবং হাতেনাতে তাকে ফেন্সিডিল সহ আটক করতে সমর্থ হয় এবং তাকে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে থানায় নিয়ে যাবার সময় ধৃত আমির ধস্থাধস্থি করে নিকটস্থ ডোবায় লাফ দেয়, তখন পুলিশের সদস্যরাও পানিতে লাফ দিয়ে আমিরকে আবারও তাদের কব্জায় নিতে সমর্থ হলেও তার ক্ষাণিকক্ষণ পর সে বন্দর থানার এস আই সামশুজ্জোহার হাতে কামড় বসিয়ে মারাত্মকভাবে ঝখম করে আবারও হ্যান্ডকাফ সহ পানিতে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায়। সেদিন পুলিশ শত চেষ্টা করেও আমিরকে ধরতে ব্যর্থ হন। পুলিশের ও ধৃত আমিরের ধস্থাধস্থির আওয়াজ শুনতে পেয়ে অসংখ্য স্থানীয় লোক জড়ো হয়ে যায়। পুলিশ এক পর্যায়ে তাদের হাতকড়া উদ্ধারে ফেন্সি ব্যবসায়ী আমিরের স্ত্রীর নিকট হাতকড়ার চাবি দিয়ে যায় এবং চাবি দিয়ে হাতকড়া খুলে রাখলে রবিবার রাতের যে কোন সময় হাতকড়া নিতে বন্দর থানা পুলিশ আসবে বলে পুলিশ সদস্যরা চলে যায়। এদিকে হাতকড়া নিয়ে পালিয়ে যাবার খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার যথেষ্ঠ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য ১ বছর আগে মাদক ব্যবসায়ী আমির কুমিল্লা থেকে ফেন্সিডিল আনার সময় র্যাবের হাতে ধরা পড়ে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে ২ মাস সাজাভোগের পর বর্তমানে জামিনে রয়েছে বলে জানা গেছে। এধরণের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীর হাতে থেকে সমাজকে রক্ষার্থে তাকে দ্রুত খুঁজে বের করে প্রশাসনের কঠোর আইনী পদক্ষেপের দাবী জানিয়েছেন তার পরিবার সহ অত্র মদনপুর বড়বাড়ির সকল স্থানীয় জনগণ।