বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নস্থ শান্তিনগর আশ্রায়ন প্রকল্প বহুমুখী সমবায় সমিতি (প্রস্তাবিত মজিব নগর) এর ৫০টি পরিবার র্দীঘ দিন ধরে চরম মানবতায় জীবন যাপন করছে। এমন অভিযোগ তুলেছে আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসরত পরিবার গুলো। ভূক্তভোগী পরিবারগুলো আরো জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০০ সালে শান্তিনগর আশ্রয়ন প্রকল্প স্থাপন করে ৫০টি হতদরিদ্র পরিবারকে আশ্রায়নে বসবাস করার ব্যবস্থা গ্রহন করে। সে সাথে ৫০টি পরিবারকে কৃষিকাজ করার জন্য ১০ হাজার টাকা করে সর্বমোট ৫ লাখ টাকা প্রদান করেন। এর পর বিএনপি ও জামায়াত জোট সরকারের আমল থেকে শুরু করে বর্তমান ২০১৭ ইং সাল পর্যন্ত আশ্রায়ন প্রকল্পের উন্নয়ন বা সরকারী কোন বরাদ্দ পায়নি আশ্রায়নবাসী। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, আশ্রায়ন প্রকল্পে বসবাসরত ৫০টি পরিবারকে সরকারি সুযোগ সুবিধা ও আশ্রায়ন প্রকল্পের উন্নয়নের জন্য শান্তিনগর আশ্রায়ন প্রকল্প বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি ও কলাগাছিয়া ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুস সালাম ২০১৭ইং সালের ৯ ফেব্রুয়ারী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ আবেদন করেন। এবং এর অনুলিপি দেওয়া হয় জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা র্নিবাহী র্কমর্কতা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা সমবায় অফিসার। এ ব্যাপারে শান্তিনগর আশ্রয়ন প্রকল্পের সভাপতি আব্দুস সালাম সাংবাদিকদের জানিয়েছে, ২০০০সালে আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসরত ৫০টি পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ লাখ টাকা ঋৃন প্রদান করেন। এর মধ্যে ৩৮টি পরিবার ১০ হাজার ৮’শ টাকা করে সর্বমোট ৪ লাখ ১০ হাজার ৪’শ টাকা সমাজ কল্যান অফিসারের নিকট লিখিত কাগজপত্রের মাধ্যমে জমা দেই। র্দীঘ ১৬ বছর যাবত কোন প্রকার ঋৃন পাচ্ছি না আমরা। আশ্রায়ন প্রকল্পে ৫টি নলকুপ ও বাথরুম সবগুলো ব্যবহারে অনুপযোগী। আশ্রয়ন জামে মসজিদ স্থাপন হওয়ার পর থেকে এ যাবত পর্যন্ত এ সমজিদে মসজিদে কোন উন্নয়ন হয়নি। আশ্রায়ন প্রকল্পে কমিউনিটি স্কুল বন্ধ থাকার কারনে আশ্রায়ন প্রকল্পের বসবাসরত ক্ষদে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া বন্ধ রয়েছে। তিনি আরো জানান, আশ্রায়ন বাসীর কষ্টের কথা চিন্তা করে গত রোববার সন্ধ্যায় বন্দর উপজেলার সুযোগ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পিন্টু বেপারী তিনি সরজমিন ঘুরে সুবিধা বঞ্চিত আশ্রয়নবাসীর মাঝে কম্বল বিতরণ করেন।